আন্তর্জাতিক

চেতনানাশক ছাড়াই সার্জারি চলছে গাজার হাসপাতালে

  প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:২৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

চেতনানাশক ছাড়াই সার্জারি চলছে গাজার হাসপাতালে

রকেট হামলায় বিধ্বস্ত আল আহলি হাসপাতাল থেকে গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল শিফায় ছুটে যাওয়া হতাহতদের সার্জারি করার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। বুধবার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলিমা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টেবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালানোর পর গাজ উপত্যকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ফলে নতুন সরবরাহ না আসায় আল শিফাসহ গাজার অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের পাশাপাশি চেতনানাশক ওষুধের মজুতও ফুরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবু সেলিমা।  

‘এ কারণে সার্জারির আগে রোগীদের চেতনা নাশক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না,’ এপিকে বলেন আবু সেলিমা।

আগের দিন মঙ্গলবার রাতে গাজা উপত্যকার আল আহলি হাসপাতালে রকেট হামলা হয়। সেই হামলায় নিহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি এবং আহতও হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।

কারা এই হামলা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েরের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে।

হামলার পর স্থানীয় সময় বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ৩ শ’ মানুষ আল আহলি থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে আল শিফা হাসপাতালে এসেছেন বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। তাদের প্রত্যেকেই হামলায় জখম নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। এমনকি হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে— এমন রোগীর সংখ্যাও ছিল অনেক।

ফলে, তাদের বেশিরভাগেরই সার্জারির প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু সরেজমিনে আল শিফা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানাভাবের কারণে হাসপাতালে মেঝেতে বসে চেতনানাশক ছাড়াই সার্জারি করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফলে হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ এক কথায় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

‘আমাদের চিকিৎসা উপকরণ লাগবে, শয্যা লাগবে, ওষুধ লাগবে, চেতনানাশক লাগবে— এক কথায় বলতে গেলে, আমাদের সব মজুত শেষ হয়ে গেছে,’ এপিকে বলেন সেলিমা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by