বাংলাদেশ

নববর্ষ উদযাপনে রমনায় মানুষের ঢল

  প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:২১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নববর্ষ উদযাপনে রমনায় মানুষের ঢল
রমনা বটমূলে সর্বস্তরের মানুষের ঢল

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ৬টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। পয়লা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নেয় বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া লোকজন বলছেন, নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের জমায়েত শুরু হয়। সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানান সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই ছিল লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

এবারের অনুষ্ঠানের মূল ভাব—মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হয় মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হয়, ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়…।’

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ছিল ১১টি সম্মিলিত গান, ১৫টি একক গান, পাঠ ও আবৃত্তি।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়। বসানো হয় পুলিশ ও র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয় আলাদা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by