প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৫ , ৮:০৯:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নরসিংদীর পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লাশটি উদ্ধার করে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহাদ ইসলাম (১৮) নামের আরেক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন চার বন্ধু। দুজন তীরে উঠে আসতে পারলেও অন্য দুজন তলিয়ে যান। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি এলাকার কামরুল হাসানের ছেলে ও নিহাদ ইসলাম (১৮) ভোলার সদর উপজেলার কোরালিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে। এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা দুজন হলেন রেজাউল তানভীর (১৮) ও সামির খান (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান ও রেজাউল ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকার প্রাণ-আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করেন। সামির ও নিহাদ ঢাকা থেকে তাঁদের কাছে ঘুরতে এসেছিলেন। ছোটবেলায় তাঁরা চারজন রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একসঙ্গে চলাফেরা করেছেন।
বেঁচে ফেরা ওই দুই বন্ধু জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চারজন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ইফতার করতে যান। ৪টার দিকে তাঁরা নদীর পানিতে গোসল করতে নামেন। নদীতে তাঁরা পরস্পরের দিকে পানি ছুড়ে মারছিলেন। একপর্যায়ে স্রোতের টানে একজন তলিয়ে যাচ্ছেন দেখে আরেক বন্ধু হাত বাড়িয়ে দেন। এ সময় দুজনই তলিয়ে যান। পরে অন্য দুজন সাঁতার না–জানায় দ্রুত তীরে উঠে স্থানীয় লোকজনকে ঘটনাটি জানান। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নদীতে নেমে তাঁরা নিহাদের লাশ উদ্ধার করেন।
রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার সকাল ৮টা থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নিখোঁজ আসাদুজ্জামানকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে। পরে বেলা ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয় তারা।
পলাশ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই আসাদুজ্জামান ও নিহাদ ইসলামের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’