বরিশাল

পাথরঘাটায় একই পন্যের তিন বার খাজনা, নাজেহাল ব্যবসায়ীরা

  প্রতিনিধি ১৪ জুন ২০২২ , ৭:০৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় দেড়লাখ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সামগ্রীর চাহিদা মিটছে না স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যে। এ কারণে আড়ৎদাড়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে স্থানীয় খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। কিন্তু একই পন্য ক্রয় থেকে বিক্রয় পর্যন্ত তিন বার খাজনা পরিশোধ করতে হয় এ ব্যবসায়িদের। এ কারণে চরা দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান পাথরঘাটার কাচামাল ব্যবসায়িরা।

পাথরঘাটা বাজার ঘুরে দেখা যায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পাথরঘাটায় তুলনামূলক প্রতিকেজি কাঁচামালের একটাকা থেকে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পন্য। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়িরা পরিবহন খরচ ও অতিরিক্ত খাজনা দেয়াকে দুষছেন।

পাথরঘাটা উপজেলার কাঁচামাল সরবরাহ কারি আড়ৎদাড় আউয়াল হোসেন ভোরের দর্পনকে জানান, স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে রাজশাহী, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচামাল কিনতে হলে সেখানকার স্থানীয় বাজারে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। সেখান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে পাথরঘাটায় আসলে ছোট বড় ট্রাক প্রতি ৬শো থেকে ১৫শো টাকা খাজনা দিতে হয়। এর পর যখন খুচরা বিক্রেতারা ভ্যান গাড়িতে, চটে অথবা টলে বসে বিক্রি করে তাদের থেকেও ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা নিচ্ছে পাথরঘাটা পৌরসভার ইজারাদাররা।

একই অভিযোগ করেন আড়ৎদাড় সেফাজউদ্দিন ও আল-আমিন। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খাজনা পরিশোধের রশিদ চাইলে আড়ৎদাড়রা জানান, তারা খাতায় স্বাক্ষর করে খাজনা আদায় করে কোন রশিদ দেন না। খাতায় দেখা যায় খলিলুর রহমান নামে এক ইজারাদার আদায়কারী সাক্ষর।

খুচরা বিক্রেতা আল-আমিন, মিলন, জহির রবিউল, সগির, মহসিন ভোরের দর্পনকে জানান, আমরা যারা খুচরা বাজারে চটে ও গাড়িতে কাঁচামাল বিক্রি করি তাদের থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা নিচ্ছে ইজারাদার। তারা অভিযোগ করেন আমাদের মহাজনেরা ঘর থেকেও খাজনা আদায় করে আর আমরাও রাস্তায় বসে বিক্রি করেও খাজনা দেই। এর প্রভাব গিয়ে পন্যের উপর পরে।

বরিশালের কাঁচামাল বেপারি রিপন মিয়া ভোরের দর্পনকে জানান, আমরা সারাদেশে কাঁচামাল সরবরাহ করি। কিন্তু পাথরঘাটায় পাইকারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা নেয়। তাই এ বাজারে আমরা পন্য পাইকারি দেইনা।

এবিষয়ে ইজারাদার খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে রিসিভে টাকা আদায় করা হয় না বিষয়টি স্বীকার করে ভোরের দর্পনকে জানান, কাঁচামাল যতবার বিক্রি হবে ততবার খাজনা পরিশোধ করতে হবে। পৌরসভা থেকে এমন কোন নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পাথরঘাটা পৌরসভার বাজার পরিদর্শক বিপ্লব জানান, কাঁচামাল সরবরাহ কারিদের থেকে কোন খাজনা আদায়ের বৈধতা নেই। ইজারাদারেরকে খাজনা আদায় করে তাকে রশিদ প্রদান করতে হবে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by