বরিশাল

পাথরঘাটা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২৩ , ৬:২৭:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি :

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার টি.এম. শাহ আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি সহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি আ. রাজ্জাক। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরও পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জলিল সরকার ও মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। এছাড়াও অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ খলিল, মোহাম্মদ সায়েম প্রমুখ 

আ. রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি স্কুলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন করতে গেলে শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলম আমি যাতে সভাপতি নির্বাচিত না হতে পারি সে ব্যাপারে ওই নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগসহ নির্বাচনে তার (শিক্ষা অফিসার টি.এম. শাহ আলম) পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ই করতে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন হস্তক্ষেপ করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার টি.এম. শাহ আলম সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এইউইও) পদ থেকে পদন্নতি পেয়ে গত ২০২০ সালের ১৩ অক্টেবর পাথরঘাটা উপজেলায় যোগদান করেন। এর পরই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই উপজেলার ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গায়েত্রী রানীকে অনৈতিকভাবে তার কার্যালয়ে বসান এবং ওই শিক্ষককে দিয়ে কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে ঘুস বানিজ্য করে আসছেন। শিক্ষক গায়েত্রী রানী বিদালয় অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিক্ষা অফিসারকে জানালে শিক্ষক গায়েত্রী রানীকে অনৈতিকভাবে উপজেলার লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাগজে কলমে বদলি করেন। ওই স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়মিত বেতন-ভাতা নিলেও শিক্ষা অফিসারের ঘুস বানিজ্য ঠিক রাখতে স্কুলে না গিয়ে শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় নিয়মিত বসেন। বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রামের নামে শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলম প্রতিটি স্কুল থেকে চাঁদা আদায় করেন। ডেপুটেশন চালু না থাকলেও তার নিজস্ব গ্রুপ নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে না জানিয়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো শিক্ষক ডেপুটেশন প্রদান করেন। তার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, তিনি দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেন যে, তিনি নাকি এর পূর্বের উপজেলা কর্ম থাকাকালীন সময়ে সেই জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।

এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার টি.এম. শাহ আলম বলেন, আমার অফিসে কম্পিউটার অপারেটর না থাকায় শিক্ষক গায়েত্রী রানীকে দিয়ে কাজ করানো হয়। আমার অফিস সম্পুর্ন দুর্নীতিমুক্ত। এখানে কোন প্রকার টাকা পয়সা লেনদেন হয়না। কেউ কেউ অসত উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধাচরণ করছে। এদের সাথে আমার অফিসের দুএকজনের ইন্ধন রয়েছে।

Powered by