দেশজুড়ে

প্রশস্ত সড়কে নেই যানজট, স্বস্তিতে রাজশাহীবাসী

  প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২১ , ৮:৩০:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

রফিকুল হাসান ফিরোজ, রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর অন্যতম সড়ক বাটারমোড় থেকে নিউমার্কেট, মালোপাড়া থেকে নজমুল হক বালিকা বিদ্যালয়, বর্নালীর মোড় থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটেরিয়াম, সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় ও শাহমুখদুম দরগা এলাকা বিভিন্ন সড়ক কিংবা উপ-শহরের বিভিন্ন সেক্টরগুলোতে কিছুদিন আগেও সড়কে যাতায়াতকারিরা ছিলেন নাজেহাল অবস্থায়।

এর মূল কারণ ছিলো সরু সড়ক। তবে এ থেকে মুক্তি মিলেছে মহানগরবাসীর। রাজশাহী সিটি করর্পোরেশন (রাসিক) এলাকায় পরিকল্পিত প্লানিংয়ের ফল পাচ্ছেন মহানগরে চলাচলরত সাধারন নাগরিকরা।

রাজশাহীর অন্যতম বানিজ্যিক ও শিক্ষাঙ্গণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সোনাদিঘীর মোড়। যেখানে দেশসেরা রাজশাহী কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি সিটি কলেজসহ বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যতম পাইকারি বাজার থাকায় সবসময় যানজটে নাকাল থাকতে হতো এ এলাকায় চলাচলকারিদের। এর প্রভাব পড়তো মালোপাড়া, জুয়েলার্স পট্টি, স্যান্ডেল পট্টি, বাটার মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে। এখন সেই চিরচেনা যানজট আর নেই। প্রশস্ত সড়কে নির্দিষ্ট গতি নিয়েই চলছে যানবাহন। সুফল ভোগ করছে এসব এলাকার বসবাসকারি ও চলাচলকারিরা।

এছাড়া রাজশাহীর বাটার মোড়ে আগের সড়ক ভেঙ্গে বিশালাকার সড়ক তৈরির পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হওয়ায় মূল সড়কে এর প্রভাব নাই বললেই চলে। তবে মহানগরীর অন্যতম সড়ক আলুপট্টি থেকে রাজশাহী কলেজ পর্যন্ত দুই ধারে সড়কের ব্যবসায়ীদের ভিতরে জায়গা করে দেয়া ও কোন অটো রিক্সাকে না থামতে দিলে এর যানজট থেকে অকালে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে অনেকেই মনে করছেন। সেক্ষেত্রে যত্রতত্র লোক না তুলে পরীক্ষামূলক নিদিষ্ট চারটি স্টপেজ করে সেখান থেকে লোক গাড়িতে ওঠানামা করানো যেতে পারে তারা মত দিয়েছেন।

রিকশাচালক জহির বলেন, প্রতি ইদে সাহেববাজারের আশেপাশে যেভাবে জ্যাম (যানজট) হয় এবার থেকে আর হবে না মনে হচ্ছে। রাসিক মেয়র লিটন যেভাবে রাস্তা বড় করেছে তাতে আমাদের খুব উপকার হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ছাত্র আমিনুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঢাকার জ্যাম সম্পর্কে সকলেই অবগত। তবে ছুটি পেলেই আমি রাজশাহী চলে আসি। আমার এত ভালো লাগে চলাচল করতে কোন জ্যাম নাই বললেই চলে। রাজশাহী মূল সড়কগুলো এতো বড় হয়েছে এটা আমি ভাবতেই পারছিনা। রাসিকের প্লানিংয়ে যথেষ্ট সফলতা আসবে বলে আমার বিশ্বাস। তাছাড়া রাজশাহীর মেয়র খুব ভালো কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

মহানগরীর সপুড়া নিবাসী শাফায়াত ইমাম বলেন, রাস্তা বড় হওয়ায় আমরা ব্যাপক খুশি। তবে প্রতিটি বড় সড়কের পাশে দুই ধারে ড্রেন করা দরকার যেনো কোনভাবেই বর্ষার পানি না জমতে পারে। কারণ পানি জমলেই সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিন বলেন, চাকরির প্রয়োজনে বিভিন্ন শহরে আমি ছুটে বেড়াই। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এরকম প্রশস্ত রাস্তা আমি সচারচর অন্য জায়গায় দেখতে পাইনা। মহানগরে এখন আগের মত গেঞ্জাম নেই। জরুরী প্রয়োজনে যেকোন এলাকায় খুব দ্রুত যাওয়া যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানায় বড় রাস্তা করে যানজট থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

 

উপ-শহর দড়িখরবোনা এলাকায় বসবাস করেন বিপুল হোসেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে রয়েছেন এখানে। জানালেন, গত তিন বছর ধরে আমাদের এলাকা এতো উন্নত হয়েছে বলে বোঝাতে পারবোনা। এখন বড় ড্রেনও হচ্ছে, জলাবদ্ধতা দূর হলে আমরা আরো শান্তিতে থাকতে পারবো।

তবে এলাকার রাস্তা নিয়ে তিনি বলেন, আগেতো ছোট রাস্তা থাকায় জ্যাম না পড়লেও ওভারটেক করতে একটু টেনশন থাকতো। আর এখন পরপর তিনটা রিক্সা ওভারটেক করলেও নিশিন্তে যেতে পারবে। দড়িখরবোনা চার রাস্তার মোড়ে একটি ট্রাফিক স্টান্ড হলে সবচেয়ে ভালো হয় কারণ রাস্তা চওড়া হওয়াতে অনেকে জোরে গাড়ি চালাচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by