বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা খেতাব-সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২১ , ৮:৪২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা খেতাব ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এছাড়া, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদসহ বিতর্কিতদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিকা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের লক্ষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জামুকা।

মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠায় যাচাই–বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দু’দফা যাচাই-বাছাই করে ২ হাজার ৮৩৪ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ এসেছে। রোববার (১৪ মার্চ) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, যাচাই–বাছাইয়ে ১৬ হাজার ৬৯১ জনের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ পেয়েছে জামুকা। আর নাম বাদ দিতে সুপারিশ এসেছে ২ হাজার ৮৩৪ জনের। অন্যদের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিবেদন আসেনি। দেশের ৩৭৬টি উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি আছে এখনো ১১৪ উপজেলা।

এদিকে, শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যদি জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওইদিন তিনি বলেন, জিয়ার খেতাব বাতিল করা হয়নি। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by