দেশজুড়ে

বন্দর পতেঙ্গায় চতুর্থবারের মতো নৌকার মাঝি লতিফ

  প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:০০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বন্দর পতেঙ্গায় চতুর্থবারের মতো নৌকার মাঝি লতিফ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে টপকিয়ে চতুর্থবারের মতো আবারও চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সে এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ। ২৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম- ১১(বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী হিসেবে এম এ লতিফের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে এই আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন।

গত ১৮ নভেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে এই আসন থেকে সর্বোচ্চ ২৮জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর থেকেই সারা চট্টগ্রামজুড়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয় বন্দর-পতেঙ্গা আসনের নৌকার মাঝি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিটি করপোরেশনেন সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা। কিন্তু সবাইকে টপকিয়ে আবারও নৌকাকে নিজের করে নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী আবারও তার হাতে নৌকা তুলে দিয়ে আস্থা রেখেছেন।

ক্লিন ইমেজ আর জনসম্পৃক্ততার কারণেই মূলত এমপি লতিফ পুনরায় নৌকা পেয়েছেন বলে দল সংশ্লিষ্টদের অভিমত। তার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, করোনাকালীন সময়ে দুঃস্থ মানুষের সেবায় চট্টগ্রামে তিনি ছিলেন সন্মুখে। তাছাড়া তার নানাবিধ সামাজিক ও মানবিক কাজও তাকে দিয়েছে অনন্য মাত্রা। স্বল্পমূল্যে দুধ-ডিম থেকে শুরু করে স্বল্পমূল্যে খাবার বিতরণ, ৩০ টাকায় মোরগ পোলাও, ২০ টাকায় ডিম পোলাও খাওয়ানো, আগ্রাবাদ চেম্বার হাউজসহ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্বল্পমুল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিক্রি, নারী শক্তি উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক মানবিক উদ্যোগের কারণে তিনি নগরজুড়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছেন। তাছাড়া এতবছর এমপি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনোরূপ দুর্নীতি অনিয়মের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। ফলে তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই কনফার্ম ছিলো।

চতুর্থবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এমপি লতিফ বলেন, মানব সেবায় কাজ করলে মানুষের দোয়া পাওয়া যায়। বান্দা খুশি হলে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহ খুশিতো দুনিয়ার সবাই খুশি। আল্লাহ রাজিতো বান্দাও রাজি। মানুষের দোয়া থাকলে আল্লাহর রহমত অনিবার্য। আর সম্মানের মালিক তিনিই। মহান আল্লাহ মানুষের কর্মকে সম্মানিত করেন। তাছাড়া গত তিনবারের এমপি’র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনসম্পৃক্ততা এবং কর্মকান্ডের কারণে দল আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন, এটা আল্লাহর রহমত ছাড়া কিছুই নয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by