দেশজুড়ে

বাংলাদেশে ইউনিলিভারের ৬ দশকের সমৃদ্ধ পথচলা

  প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:১৩:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশে সাফল্যের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল)।  ইউনিলিভার বাংলাদেশ বৈশ্যিক ব্রিটিশ কোম্পানি ইউনিলিভারের অংশ এবং এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত। যৌথ মালিকানাধীন ‘ইউনিলিভার বাংলাদেশ’ এ ৩৯.২৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের। কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন জাভেদ আখতার, যিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ইউনিলিভারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, এস এম আলম এবং যুগ্ম সচিব, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ইউবিএল কোম্পানিটিতে বোর্ড পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

আধুনিক জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। জাতীয় উন্নয়নশীল কার্যক্রম ও  পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশে ইতিবাচক সমাজ তৈরিতে প্রভাব রেখে চলেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল)। ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ফ্যাক্টরি (কেজিএফ) স্থাপনের মধ্য দিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশে। বর্তমানে লাক্স, লাইফবয়, সার্ফএক্সএল, ক্লোজআপ, সানসিল্ক, পন্ডস, ভ্যাসলিন, ডাভ এবং পিওরইট সহ প্রতিষ্ঠানটির ২৬টিরও বেশি ব্র্যান্ড বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতি ১০টি পরিবারের ৯টি পরিবারে তাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে ইউনিলিভারের এক বা একাধিক পণ্য ব্যবহার করছেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বিস্তৃত সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি গ্রাহকের দোরগোড়ায় শুধুমাত্র পণ্যই পৌঁছে দিচ্ছে না, একই সাথে কল-কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিল্পায়ন এবং দেশের কর্মসংস্থানেও অবদান রাখছে। বর্তমানে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে, যার একটি নিজস্ব ফ্যাক্টরি এবং বাকি ৬টি কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিংয়ের আওতায় ইউনিলিভারের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করে থাকে। ইউনিলিভার বাংলাদেশের উৎপাদিত ৯৫ শতাংশ পণ্যই স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত হয়।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে ১৫ শতাধীক ও পরোক্ষভাবে ২১ হাজারের অধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশে। শুধু ব্যবসায়িক সম্প্রসারণই নয়, পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনতে ফ্যাক্টরির আধুনিকায়ন ও দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকারকে সহযোগিতাও অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটি ২০১৩ সাল থেকে টানা ৬ বছরসহ মোট ৮ বছর শীর্ষ করদাতার প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে ইউনিলিভার বাংলাদেশের অবদানকেই প্রতিফলিত করে। এছাড়া, বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরি ও কর্মীদের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখায় কোম্পানিটি ১১বার ‘নাম্বার ওয়ান এমপ্লয়ার চয়েস’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ।

বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০৪১-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, প্রায় ৮০% গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান শহুরে জীবনযাত্রার সমান হবে। শহরের সাথে গ্রামের পার্থক্য ক্রমেই কমে আসতে শুরু করেছে। এই দেশে যাত্রার শুরু থেকেই ইউনিলিভার, গ্রামীণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছে এবং পণ্যের সর্বোচ্চ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইউনিলিভার পুরোপুরিভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সর্বোপরি ইউনিলিভার বাংলাদেশ ভোক্তাদের মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেবার মাধ্যমে ও এ দেশের টেকসই ব্যবসার বিস্তৃতিতে অণুসরণীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by