দেশজুড়ে

বান্দরবানে ‘হামুন’ এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে ২ দিন

  প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৫৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বান্দরবানে ‘হামুন’ এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে ২ দিন

বান্দরবান জেলা ও উপজেলা গুলোতে ঘুর্নিঝড় হামুন এর প্রভাবে গতকাল রাত হতেই ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টপাত অব্যাহত আছে।বৃষ্টিপাতের কারনে জনসাধারণের দৈনন্দিন কাজ কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।তবে স্বাভাবিক ভাবে ঘুর্নিঝড় হামুন এর প্রভাবে বড় কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার আশংকা করছে না বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল।তবে ভারী বর্ষনের ফলে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে আগামী ২৬ শে অক্টোবর পর্যন্ত জেলা সদর সহ উপজেলায় ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে দেশের উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ (HAMOON) আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (২০.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে ।

এটি আজ (২৪ অক্টোবর ২০২৩) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে,মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকাল নাগাদ (২৫ অক্টোবর ২০২৩) মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (≥ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ

অব্যাহত রয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে

বলা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং

তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত).নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেতের

আওতায় থাকবে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখারী, ভোলা,বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চাল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী

‘(২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী

অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by