দেশজুড়ে

বিজয়নগরে মাল্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৪ , ৭:২১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বিজয়নগরে মাল্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মাল্টা একটি আন্তর্জাতিক ফল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যেন সবুজ মাল্টার উৎসব। এযেন সবুজের সময় রুহ। উৎপাদিত মালটা বিক্রি করে ভালো দাম পাবে বলে আশাবাদী চাষীরা। প্রতিটি বাগানে সবুজ মাল্টার বাড়ে নুইয়ে আছে মাল্টা গাছ। গাছের ফলন দেখে খুবই উৎফুল্ল চাষীরা।

সিঙ্গারবিলের মাল্টা চাষী সোহাগ মিয়া জানান, ২হেক্টর মাল্টা বাগান রয়েছে তার মধ্যে ২একর জায়গাতে মাল্টা মালটা এসেছে। ফলনের অবস্থা খুবই ভালো। উক্ত বাগান থেকে তিনি প্রায় ৪লক্ষ টাকা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এছাড়া সুলতান আহমেদের ৪০শতাংশ, এনামুল হক চৌধুরীরর১একর, আ: আলীমের ৪০শতক মাল্টা বাগানেআশানুরোপ ফলন হয়েছে।

সোহাগমিয়া, সুলতানআহমেদসহঅন্যান্য মাল্টা চাষিরা জানান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররুহুল আমিন খানওউপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. নূরে আলম বিভিন্ন সময়ে মাল্টাউৎপাদন সহ বিভিন্ন রোগবালাই ও পোকামাকড় রোদনে প্রয়োজনে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ নূরে আলম জানান, মাল্টা একটি লাভজনক ফসল। ভারী মাল্টা নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত।গাছ খাটু,ছড়ানো, ঝুপালো। ফলের খোসা পুরো ও ঘাসের সাথে যুক্ত, শাস হলুদাত, রসালো, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। প্রতি গাছে ৩০০-৪০০টি পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। তাই বিজয়নগরে মাটি ফল চাষের উপযুক্ত এবং মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই ঝোকছেন মাল্টা চাষের দিকে।

তিনি আরও জানান, মাল্টা হার্ভেস্টার উপযুক্ত সময় হচ্ছে, ১৫সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। এ সময়ের আগে কোন মাল্টা চাষীমালটা হার্ভেস্ট করে বাজারজাত না করে, এ ব্যাপারে মালটা চাষীদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, হার্ভেস্টারমাল্টা একটি লাভজনক ফল। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বারী মালটা-১ যা নিয়মিত ফলদানকারীউচ্চ ফলনশীল জাত। মালটা চাষলাভজনক হওয়ায় অধিকাংশ চাষী মাল্টা চাষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং নিয়মিতভাবে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করছেন। লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে প্রদর্শনী দেওয়া হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছেন।

বিজয়নগর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট বড় মিলেমোটপ্রায় সাড়ে ৬শতাধিক রয়েছে। এ উপজেলায় প্রচুর মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর বিজয়নগর উপজেলার ৭০হেক্টর আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে ৬৫হেক্টরবাগানেফল এসেছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩০০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ১৩ কোটি টাকা।

বর্তমান ফলনে যে অবস্থা কোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। মাঠ পর্যায়ে তাদেরকে কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন রোগবালাই ওপোকামাকড় দমনে প্রয়োজনে পরামর্শ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content