প্রতিনিধি ৮ মে ২০২২ , ৪:৫৮:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
“আমি পারতপক্ষে একটি চাও খাইনা। কোনও বিড়ি সিগারেট খাই না। মাদকাসক্ত তো অনেক পরের ব্যাপার।”
রোববার (৮ মে) দুপুরে পাবনার পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান মন্ত্রীর আত্মীয়কে জরিমানাকারী ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর শুকরিয়া আদায় করে তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। যেহেতু আমি রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি, সেহেতু আমাকে কাজে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে, তাতে আমি খুশি।
শফিকুল বলেন, এটাই আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্ত। এর আগে কখনও সাময়িক বরখাস্ত হইনি। আমি পারতপক্ষে একটি চাও খাইনি। কোনও বিড়ি সিগারেট খাই না। মাদকাসক্ত তো অনেক পরের ব্যাপার। ডিসিও স্যার কেন এ কথা বলেছেন তা জানি না। যেদিন আমি ওই রাতে গাড়িতে দায়িত্ব পালন করেছি, সেদিন আপ অ্যান্ড ডাউনে ৭৮ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করে জমা দিয়েছি। যদি মানসিক বিকারগ্রস্ত হতাম তাহলে এত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার অভিযোগে তিন যাত্রীর কাছ থেকে নিয়মানুযায়ী জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।
ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে টিটিই শফিকুলকে বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার সেই আদেশ কার্যকর হয়।
বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে যাত্রীকে জরিমানা করে কোনো টিটিইর বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে ভাষ্য রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের।