দেশজুড়ে

ভাঙাচোরা সড়কে নাকাল লালমোহন পৌরবাসী

  প্রতিনিধি ২৪ মার্চ ২০২৪ , ৭:০৭:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভাঙাচোরা সড়কে নাকাল লালমোহন পৌরবাসী

ভোলার লালমোহন পৌরসভার প্রায় সকল সড়কই ভাঙাচোরা, খানাখন্দ ভরা। ফলে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভালো নেই পৌরসভার বাসিন্দারা। লালমোহন পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার বর্তমানে রয়েছে ১২টি ওয়ার্ড।

সবমিলিয়ে পৌরসভার পাকা সড়ক রয়েছে ৪০ কিলোমিটার ও কাঁচা রয়েছে ২৬ কিলোমিটার। তবে দীর্ঘ বছরের পর বছর এসব সড়ক পুনর্নির্মাণ বা মেরামত না করায় যান চলাচল থাক দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ পৌর বাসিন্দাদের। তবে গত ২২-২৩ অর্থবছরে পৌর সুগন্ধা সড়ক ও ২৩-২৪ অর্থবছরে চান মিয়া সওদাগর সড়কসহ প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড নয়ানীগ্রামের বাসিন্দা মো. রিয়াজ বলেন, প্রায় একযুগ হয়েছে এ ওয়ার্ডে রাস্তার পুনর্নির্মাণ কিংবা মেরামতের কাজ হয়নি। এ রাস্তাটি পাকা হলেও ইট-পাথর হারিয়ে খানাখন্দের কারণে বর্তমানে কাঁচায় রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে এখান থেকে বাজারে যেতে আগে যেখানে ৫/১০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগতো, তা এখন ৩০ টাকা।

পৌর ৫নং ওয়ার্ড সবুজবাগের বাসিন্দা মো. জহিরুল হক সেলিম ও বলেন প্রায় একযুগ ধরে এ সড়কের কাজ হয়নি। ফলে একদিকে যেমন যাতায়াত ভাড়া বেশি, অন্যদিকে ভাঙাচোরা সড়কের কারণে রিকশার ক্ষতি হওয়ার শঙ্কায় রিকশাওয়ালারাও এদিকে আসতে চায় না। একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে পায়ে হাঁটাও দুষ্কর। এ কারণে এ এলাকায় কোনো ভাড়াটিয়ারা বাসা ভাড়া থাকতে চায়না।

৬নং ওয়ার্ড বর্ণালি সড়কের বাসিন্দা মে: হান্নান, এক পশলা বৃষ্টিতে ভাঙাচোরা সড়কে পানি জমে খালে পরিণত হয় বর্ণালি সড়ক। যুগ ধরে এমনটা হলেও বর্ণালি সড়ক সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণ হয়নি। ফলে ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছে এ এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রায় সকল সড়কই ভাঙাচোরা। বছরের পর বছর এমন দশা থাকলে পুনর্নির্মাণ থাক দূরের কথা, মেরামতও করা হয়নি বলে জানান এসব এলাকার বাসিন্দারা।

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকায় লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। এ ওয়ার্ডের পাকা সড়ক ভাঙতে ভাঙতে এখন কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। এমন দশা প্রায় সকল সড়কের।

পৌর বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছরই সড়ক উন্নয়ন খাত দেখিয়ে যানবাহনের স্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছে পৌরসভা। তবে যুগ যুগ ধরে সড়কের উন্নয়ন দেখেননি তারা। লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, এগুলো আমাদের প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত আছে। অনতিবিলম্বে সড়কগুলোর কাজ শুরু হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by