ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম:
গত ০৫/০৯/২১ তারিখ রবিবার একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন শ্রমিকরা।
পরিদর্শক পদম’র্যাদার একজন পু’লিশ কর্মক’র্তা কাজ করেন চট্টগ্রাম নগরের ট্রাফিক বিভাগে। মাসে মাসে চাঁদা না দিলে তার আওতাধীন সড়কে গাড়ি চলাচলে বাধাদান, ঠুনকো বিষয়ে গাড়িচালক-হেলপারদের গায়ে হাত তোলা ও গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে হয়রানি করা সহ নানা বিধ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে একটি অ’ভিযোগ জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
,অভিযোগ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উক্ত খবরে উল্লেখিত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সুমন জাহিদ লোভেল।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মোহাম্মদ সুমন জাহিদ লোভেল, একজন দক্ষ এবং চৌকস পুলিশ পরিদর্শক (টি আই পাচলাইশ ও এমটি আই, সি এম পি হিসেবে বর্তমানে কর্মরত), তিনি ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম সার্জেন্ট এ ভর্তি হোন পরে তার কর্ম দক্ষতার কারণে ২০১২ সালে পরিদর্শক এ
পদোন্নতি হয় রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এ তিন বছর চাকুরী করেন৷ নিজো কর্মদক্ষতা এবং সততার কারণে তিন তিনবার জাতিসংঘ মিশনে গমন করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন মেধাবী,কর্মদক্ষ, সৎ এবং নিষ্ঠাবান চরিত্রের অধিকারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার বিভিন্ন সহকর্মীর এবং অন্যান্য সার্জেন্ট যারা তার টিমওয়ার্কে কাজ করেন এবং চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,মোহাম্মদ সুমন জাহিদ লোবেল অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ, তিনি কখনো কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেননি, যার কারনে তার সহকর্মী থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ মনে করেন, সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর উদ্দেশ্যে এবং কর্মস্থল থেকে শুরু করে সমাজে তার মান ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্নভাবে মিথ্যে সংবাদ ছাপিয়ে তার সুনাম খর্ব করার পায়তারা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি গত ৭শে জুন ঢাকা মেট্রো ট-২০-৪৪৯৮ নাম্বারের একটি গাড়িকে মামলা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে সুমন জাহিদ লোবেল বলেন আমি ঐ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, কিন্তু আমার অধীনস্থ একজন সার্জেন্ট প্রতিদিনের মত গাড়ির কাগজপত্র চেক করছিল, সে ক্ষেত্রে ওই গাড়িটিও কাগজপত্র চেক এর আওতায় পড়ে তাই গাড়িটিকে সিগন্যাল দিয়ে কাগজপত্র দেখাতে বলা হয় কিন্তু চালক সেটি না করে কোন এক ব্যক্তিকে ফোন দেয়, ওই ব্যক্তি কারো কাছ থেকে আমার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে আমার সাথে কথা বলার জন্য,ঐ ব্যক্তি আমার মোবাইলে ফোন দেয় এবং তিনি আমার থেকে বিস্তারিত জানতে চান,যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই আমি আমার অধীনস্থ সার্জেন্ট থেকে বিষয়টি জেনে তাকে অবহিত করার পর তিনি আমার উপর চটে যান ও আমাকে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন, গাড়ি না ছাড়লে আমার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ করবেন এই মর্মে আমাকে হুমকি প্রদান এবং বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে, বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তিনি তৎক্ষণাৎ আমাকে জিডি করে রাখার পরামর্শ দেন, সাথে সাথে আমি গত ২৭-০৬-২০২১ ইংরেজি তারিখে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সিএমপি চট্টগ্রামে একটি লিখিত অভিযোগ লিপিবদ্ধ করি।
অভিযোগটি লিপিবদ্ধ করার পরে হিংসাত্মক হয়ে সংবাদকর্মীকে ভুল তথ্য দিয়ে মূল বিষয়টাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে ঐ চক্রটি।
অন্যায় আবদার কে প্রশ্রয় না দেওয়া এবং গাড়ির যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেওয়ার কারনে ঐ মহল আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার মান ক্ষুন্ন করা এবং আমাকে সমাজের কাছে হেয় করার জন্য এ কাজটি করছেন,আমি একজন আইনের রক্ষক এবং আইনের সেবক, তাই আইনের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল,যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে একান্ত অনুরোধ উক্ত ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।