রংপুর

ভূরুঙ্গামারীতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছেই বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

  প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:৫২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। এতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের চেহারায় পড়েছে হতাশার ছাপ।
মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দফায় দফায় নানা বিধি-নিষেধে কর্মহীন হয়ে পড়ে শ্রমজীবী মানুষ।

এর প্রভাবে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো চরম আর্থিক সংকটে পড়ে। ইতোমধ্যে হু হু করে বেড়ে চলেছে ভোগ্য পণ্যসহ বিভিন্ন জিনিসিপত্রের দাম। এমন দামের কারণে একেবারই বেসামাল সাধারণ মানুষ। তাদের ব্যয় বাড়লেও, বাড়ছে না আয়। ভ‚রুঙ্গামারী বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পেঁয়াজ ও বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, ছাগলের (খাসি) মাংস ৭৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মোটা চাল ৪৫ টাকা, আটাশ চাল ৫৩ টাকা, ইলিশ মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্প জাতীয় (এক কেজি ওজনের) প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, সোয়াবিন তেল (খোলা) ১৭০ টাকা, ঘানি টানা সরিষা তেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, বিভিন্ন ডাল ১০০-১২০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, শাক-সবজি (প্রকার ভেদে) ২৫-৫০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগির ডিম খুচরা প্রতি হালি ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। জিরাসহ সকল প্রকার মসলার দাম বেড়েছে।

রিকশা চালক আমজাদ হোসেন জানান, যেভাবে জিনিসের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় আয় বাড়েনি তার। তিন বছর আগে রিকশার সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখনও তাই আছে। এতে করে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে দুশ্চিন্তা।

মুদি দোকানদার মাইদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল-ডাল, তেল, মসলাসহ সব ধরনের জিনিপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় বাজার কমিয়ে পরিমাণে অল্প জিনিস কিনছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Powered by