রংপুর

ভূরুঙ্গামারীতে নেকব্লাস্টে দিশেহারা কৃষক

  প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৩৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

আগাম জাতের উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কৃষকরা। ধানের নেকব্লাস্টে  (শীষ মরা) রোগের আক্রমণে তারা দিশেহারা। অনেকেই এখন জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে চান না। চিটার পরিমাণ বেশি হওয়ায় খড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবেনা বলে ধান কাটতে অনীহা তাদের। কৃষকদের দাবি শীষ মরা রোগে আক্রান্ত ধানের খড়ও গবাদিপশু খেতে চায় না।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এবছর ১৬ হাজার ২১২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়। যার মধ্যে ৩ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮ ধান চাষ করা হয়।

সরেজমিনে উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরতের ছড়া, উজির পাড়া, মাহিগঞ্জ, লক্ষী মোড়, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী ব্রিজ পাড়, বেলদহ, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মোগলকাটা, ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার, বাগভান্ডার, ঈশ্বরবরুয়া, কামাত আঙ্গারীয়া, তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর, বানিয়াটারী, পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম, বাঁশজানী, শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর তিলাই, দক্ষিণ ধলডাঙ্গা ও কাঠগীর এলাকায় ব্রি-২৮ জাতের ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে চিঠায় পরিণত হতে দেখা গেছে। কৃষকদের মতে এই রোগের নাম শীষ মরা আর কৃষি অফিসের মতে নেক ব্লাস্ট।

ঈশ্বরবরুয়া গ্রামের কৃষক রমজান আলী জানান, ধানের শীষের গোড়ার দিকে কালো দাগ হয়, দুইদিনের মধ্যে সমস্ত শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়। ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, তার এক প্রতিবেশীর এক বিঘা জমিতে ১ মণের কম ধান হয়েছে। দক্ষিণ ভরতের ছড়ার কৃষক ইদ্রিস আলী জানান, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি, ওই জমিতে ৩/৪ মণ ধান হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অপর কৃষক শাহ আলম জানান, ৩৮ শতাংশ জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধানের যে অবস্থা তাতে ধান কাটা আর না কাটা একই সমান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by