রাজশাহী

ভেঙে যাচ্ছে বগুড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, যাচ্ছেন না কেউ!

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২১ , ৮:৩৫:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ করে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে দু’বছর আগে।

জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ১০টি চরের প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরই পড়ে আছে ভাঙাচোরা অবস্থায়। ঘরগুলোর মালিকানার দলিল হস্তান্তর না করায় কোনো মানুষই বসবাস করছে না সেখানে।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এতে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, মালিকানা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের মাঝবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী পাঁচ পরিবারের একজন গৃহহীন নূরুজ্জামান মণ্ডল। ষাট পরিবারের আশ্রয়ণের মধ্যে নিজের নামে ঘর বরাদ্দ হয়নি তারপরও আশ্রয় নিয়েছেন এখানে। ঘর প্রাপ্তিতে যাদের নামে তালিকা হয়েছে তারা কেউ থাকেন না ভাঙাচোরা এসব ঘরে।

আরেকটি চর দুর্গম শংকরপুর আশ্রয়ণে সত্তর পরিবারের মধ্যে বসবাস করছে মাত্র চারটি পরিবার। দীর্ঘদিনেও মালিকানা না পাওয়া, ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে যাওয়ায় এসব ঘর নিয়ে আগ্রহ নেই কারো। দুর্গম চর হওয়ায় প্রকল্পের ঘরগুলো এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, দীর্ঘ সময়েও ঘরগুলোর মালিকানার দলিল না দেওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হওয়া ঘরগুলো মেরামত না করায় সরকারের মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে।

বগুড়া সারিয়াকান্দি কান্দিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, আমরা সে কাগজপত্র ভূমি অফিসে দিয়েছি। ওনারা প্রোসেস করছে, কাজ শেষে হলে দ্রুত সবাই পেয়ে যাবে।

সঠিক সময়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না করতে পারার কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ঘর প্রাপ্তির তালিকাধারীদের খুঁজে না পাওয়া।

বগুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া বলেন, মানুষগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ার কারণে তাদেরকে আর ট্রেস করতে পারেনি। এ কারণে সঠিক সময়ে কবুলিয়াত সম্পন্ন করা যায়নি।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নির্মিত সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল, কাজলা, কুর্ণিবাড়ী, চালুয়াবাড়ী, চন্দনবাইসা ইউনিয়নে ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮২০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। এসব ঘরে বসবাস করছে মাত্র শ’খানেক পরিবার। প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by