দেশজুড়ে

মহারশী নদীর ডাকাবরে আজও নির্মিত হয়নি ব্রীজ  হাজারও মানুষের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২০ , ৬:৪২:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

মহারশী নদীর ডাকাবরে আজও নির্মিত হয়নি ব্রীজ  হাজারও মানুষের দুর্ভোগ

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবরে মহারশী নদীর উপর ৪৯ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি ব্রীজ। ফলে শত শত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, নলকুড়া ইউনিয়নের মরিয়মনগর -ডাকাবর রাস্তার মাঝপথে মহারশি নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি উঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস পাওয়া যায়। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা জানান, এ পথে উপজেলার নলকুড়া, কুশাইকুড়া, ভারুয়া, ফাকরাবাদ, ধোপাকুড়া, মানিককুড়া, গজারীকুড়া, গজারীপাড়া, হলদিগ্রাম, জারুনতলা, বাঐবাধা, বারুয়ামারী, ডাকাবর, রামেরকুড়া, শালচুড়া ও প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করে থাকে।

তিনি বলেন, এ নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময়ে আলোচনাও হয়েছে। আশ্বাস ও পাওয়া গেছে, কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। নলকুড়া গ্রামের জাহিদুল হক মিলন, মিন্টু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, মরিয়ম নগর গ্রামের জেমস মারাক, মরিয়ম নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন আরেং, ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানসহ ভুক্তভোগী আরো অনেকেই জানান, এ রাস্তার উভয় পাশে দুইটি মহাবিদ্যালয়, চারটি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি দপ্তর রয়েছে।

প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত পথচারী এ পথে যাতায়াত করে থাকে। এই নদীর উপর ব্রীজের অভাবে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয় স্কুল কলেজ হাট-বাজার অফিস-আদালতে।

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাকো পারাপার হতে হয় পথচারীদের। উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদি পশু নিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় কৃষকদের। শুধু তাই নয় রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারণ ও পাকাকরনের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ডিপিবি’তে অন্তর্ভুক্ত করেই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।  অনুমোদন হলেই নির্মাণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by