দেশজুড়ে

মিয়ানমারের গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি আহত

  প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:১২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

মিয়ানমারের গুলিতে আরও একবাংলাদেশি আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সৈয়দ আলম (৩৫) নামে একজন ব্যক্তি মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু পাহাড় পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে উত্তর ঘুমধুম আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ছোড়া গুলি প্রথমে গাছে লেগে সরাসরি তার কপালের পাশ দিয়ে চলে যায়, এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে চলে আসে।

বিষয়টি কে নিশ্চিত করে গুলির আঘাতে আহত সৈয়দ আলম।এসময় তিনি আরো জানান সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘুমধুম অবস্থান করছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ।

এসময় জেলা প্রশাসক এবং স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাংগীর আজিজের নির্দেশে স্থানীয় জনসাধারণ কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। ঘুমধুম সাত নং ওয়ার্ডের ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশাদের জন্য আশ্রয় শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যারা অর্থাভাবে আশ্রয় শিবিরে যেতে পারছেন না তাঁদের গাড়ি বাড়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন দুই নাম্বার ওয়ার্ডের আনসার সদস্য আমির বশর।

এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন আমরা জিরো টলারেন্স এর মধ্যে আছি,সীমান্তে যেন কোন অনুপ্রবেশ না হয় সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং অন্যান্য বাহিনী গুলো সতর্ক অবস্থায় আছে।ইতিমধ্যে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়েছে।

সীমান্ত বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন সীমান্তে ইতিমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে আছে।জেলা প্রশাসন সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমরা একসাথে কাজ করছি,সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতিমধ্যে জনবল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে,তিনি জানান স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

এদিকে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার ভয়ে সীমান্ত লাগুয়া গ্রামের অনেক জনসাধারণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by