চট্টগ্রাম

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

  প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:৩৬:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিনত’কে দেশটির সামরিক বাহিনী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে আটক করা ও সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনার পর বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় আছে বিজিবি। 

সময় সংবাদের প্রতিবেদককে সোমবার সন্ধ্যায় ফোনে এ কথা জানান, কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমার-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরতদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে, অনেকে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে। ফলে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তুমব্রু, ঘুমধুম, চাকঢালা, আশারতলী সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে বিজিবি।

মূলত গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে বেসরকারি সরকার এনএলডি ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

নির্বাচনে সু চি’র দল ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) প্রতারণা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছে শুরু থেকেই। বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনী ও এনএলডি’র মধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

সোমবার সকালে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিনতসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এরপর পরেই সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বান্দরবান সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি।

এই ব্যাপারে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, তারপরও যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by