ঢাকা

মুকসুদপুরের এসিল্যান্ড ও তহশীলদারের বিরুদ্ধে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রকে সহযোগিতার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ১:৩৪:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার এসিল্যান্ড ও তহশীলদারের বিরুদ্ধে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রকে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের  বনগ্রাম বাজারের ওপর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কুমার নদী হতে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, বিষয়টি মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহা ও বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) কৃষ্ণ বাবুকে গত শুক্রবার (১০ মার্চ) জাতীয় সাপ্তাহিক মধুমতি কন্ঠের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনের মাধ্যমে অবহিত করলেও অদৃশ্য কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এর আগে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কৃষ্ণ বাবু সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে জানান যে, আমি সব পাইপ ভেঙে ফেলেছি কিন্তু এটা  ছিলো মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রতারনা। পরে বিষয়টি জানতে রোববার (১২ মার্চ) জাতীয় সাপ্তাহিক মধুমতি কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক সরেজমিনে ঘটনা স্থলে তার প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে দেখতে পান ওই তহশীলদারের সহযোগিতায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলেন, তহশীলদার ও এসিল্যান্ডের যোগসাজশে এখনও ড্রেজার মেশিন চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী ওই চক্রটি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পাশে থাকা অগ্রণী ব্যাংক সহ প্রায় ২০টি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভূমি ধসের আশঙ্কায় হুমকির মুখে পড়েছে। 

অভিযুক্ত মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহাকে আমাদের প্রতিনিধি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানানোর পরেও কেন আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি? বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা নিয়েছি, তারা আবারও এ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমি আজকেও ব্যবস্থা নিয়েছি।

অভিযুক্ত তহশীলদার কৃষ্ণ বাবুকে এব্যাপারে তার অফিসের পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে চক্রটি, জানানোর পরেও তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি জানতে চাইলে তিনি টাইপ অপসারণ করে দিয়েছি পরে আবার তারা জোড়া লাগিয়ে বালুর উত্তোলন করছে। পাইপ অপসারণ কেন? আইনগত  কোন ব্যবস্থা কেন নিলেন না? জানতে চাইলে তিনি বলেন এসিল্যান্ড স্যার এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেননি। আমি আর কি করতে পারি বলেন।

এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট দ্রুত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে অগ্রণী ব্যাংক সহ উক্ত দোকানপাট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দ্রুত রক্ষা করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান। 

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে কোন বালু মহাল নেই। প্রশাসনে কর্মরত কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে জেলা ব্যাপী চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। দুদকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে তৎপর না হলে এ চক্রটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জাতির পিতার পূণ্যভূমি গর্বিত গোপালগঞ্জকে ভূমিধসের কবলে ফেলছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by