প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৫:৫২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ‘বিকন অব ব্রিলিয়ান্স’ দিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা।
আজ শনিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ০৯.৩০ টায় নোয়াখালী পৌরসভা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ‘বিকন অব ব্রিলিয়েন্স’ অনুষ্ঠিত হয়।
নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির’র সেক্রেটারি আরিফুর রহমান এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুজাম্মেল হোসেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, নোয়াখালী সদর উপজেলার সেক্রেটারি ডা. মিরাজুল ইসলাম, নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি তাফহিমুল ইসলাম মারুফ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক মুজাম্মেল হোসেন বলেন, নিশ্চিতভাবেই আমার সামনে আজকে যারা উপবিষ্ট আছেন সবাই মেধাবী। আপনাদের এ সফলতার পিছে আপনাদের পিতা-মাতার অবদান অনেক। তোমরা তোমাদের মেধা এবং প্রজ্ঞাকে যদি না লাগাও,তোমাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। সবাই যদি সবার জায়গা থেকে জবাবদিহি করে, তাহলে দেশ কখনো মচকাবে না। আমাদের সম্পদ কম কিন্তু চাহিদা বেশি। আমাদের মধ্য থেকে বৈষম্য এখনো যায়নি। তোমরা যদি চাও তাহলে তোমরাই পারো এ বৈষম্য দূর করতে। সুতরাং, আমি তোমাদের বলতে চাই তোমরা যদি তোমাদের জায়গায় নৈতিক হও তাহলে তোমরা মচকাও তবুও ভেঙে পরবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, আমরা যারা আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছি সবাই অত্যন্ত মেধাবী এবং ফিউচার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ। আপনাদেরকে নিয়ে আমরা এমন সমাজের স্বপ্ন দেখি যেখানে নৈতিকতা বজায় থাকবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতার বিষয়গুলো শিখানো হয়না। মূলত,বাংলাদেশে আমরা যে শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা করি তা আমাদের জন্য যথোপযুক্ত নয়৷ এরপর, শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে দলীয়করণ। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কোন দেশেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়না। আমাদের এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। এগুলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা। আমরা চাই যারা আজকে সামনে বসে আছেন আপনারা ভালো সিভিল সার্ভিস ক্যাডার হন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হোন। আপনারাই আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের হাল ধরবেন, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্টসহ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করেন।