দেশজুড়ে

মোরেলগঞ্জে দুর্ভোগে স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীসহ ৮ গ্রামের মানুষ

  প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৪ , ৪:০০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মোরেলগঞ্জে দুর্ভোগে স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীসহ ৮ গ্রামের মানুষ

সাঁকোটি আনুমানিক ৩৫ ফুট দীর্ঘ পথচারী চলার সময় সেটি দোলে, থরথর করে কাঁপে।বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ১২ নং জিউধারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বরইতলা খালের পোল ভেঙে হয়ে গেছে সাঁকো,৫ বছরেও কোন সংস্কার হয় নি, অনেক স্থানে বাঁশ-খুঁটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

ভগ্নপ্রায় সাঁকোটির ওপর দিয়ে অতি কষ্টে ও সাবধানতা অবলম্বন করে পারাপার হন লোকজন। অনেকে সাইকেল মাথার ওপর তুলে এক হাত দিয়ে বাঁশ ধরে পার হন। এমন দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার জিউধারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ঠাকুরতলা-বরইতলা গ্রামের মধ্যবর্তী একটি খালে। এই গ্রামের ৬০ ভাগ মানুষ সংখ্যালঘু,৮ বছর আগে একটি পোল ছিল এই খালটিতে।

প্রাচীন এই খালটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে লক্ষীখালী,সাধুর বাজার সহ ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় অনেক নারী,পুরুষ ওই এলাকার সিদ্দিকুর রহমান নামের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বাড়ির পুকুর থেকে কলসি কাঁধে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো পার হন।

বর্ষা এলে শুরু হয় চরম দুর্ভোগ। ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীদের।ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত, মৎস্য ঘেরে খাবার পৌঁছানো, মাছ ও কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত। স্থানীয়রা জানায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের এ সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপার হন পথচারীরা।

সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে এর সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে আসছেন স্থানীয়রা।শিক্ষার্থীদের,এই সাঁকো পার হয়ে এই ইউনিয়নের ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তালিমুনন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা,দক্ষিণ বাংলা কলেজ সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিস্টানে যেতে হয়। মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে যায়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই খালের ওপর ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।তারা এটা বাস্তবায়ন চান।৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্থানে পোল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে একটা ব্রিজ বা কালভার্ট খুব জরুরি। জিউধারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, এই পোলটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো এই পোল নির্মাণের জন্য স্হানীয় ভাবে কোন আবেদন পাই নি,তবে খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোলটি নির্মাণে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by