বাংলাদেশ

যে অভিযোগে হেফাজত নেতা মুফতি হারুন গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ৫:৩৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পন ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও বহুল আলোচিত নেতা মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বুধবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

মুফতি হারুন গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মূলতা সহিংসতায় উসকানির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর ঘিরে দেশের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতা হয়েছে, তাতে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া মুফতি হারুন কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হারুন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে এবং চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক।

হারুনের বাবা মুফতি ইজহার ওই মাদ্রাসার পরিচালক। তিনি এক সময় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ছিলেন । এর আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় ঐক্যজোটে ছিলেন।

২০০৯ সালের নভেম্বরে ওই মাদ্রাসার পেছনের পাহাড় থেকে লস্কর ই তৈয়বার সন্দেহভাজন দুই বিদেশি জঙ্গিসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন হারুন। ঢাকায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

পরে ২০১৩ সালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে বড় ধরনের বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাজা গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় খুলশী থানায় বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুটি মামলা হয়, যাতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলের হারুনকে আসামি করা হয়।

ওই ঘটনায় চট্টগ্রামে বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুটি মামলা হয়, যাতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুনকে আসামি করা হয়। পরে হারুনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by