চট্টগ্রাম

চাটখিলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শত কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে

  প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২১ , ৯:০৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

নোয়াখালী জেলার চাটখিলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শত কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে। এ সম্পত্তিতে গড়ে উঠেছে দোকানপাট সহ বিভিন্ন ধরনের ভবন। এ কারণে চাটখিল পৌর বাজার সহ অন্যান্য স্থানে যানজট সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এবং লোকজন প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও দূভোর্গ পোহাচ্ছে। জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি-চাটখিল-রামগঞ্জ সড়কে চাটখিল অংশের কাঁচারি বাজার থেকে দশঘরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের উত্তর পাশের সম্পত্তি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এ সম্পত্তির উপর অবৈধ দখলদারগণ গড়ে তুলেছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা।

 

সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে মাঝে-মধ্যে এগুলো উচ্ছেদ করলেও ১৫/২০ দিন অতিবাহিত হতে না হতেই পুনঃরায় দখলদার দখল করে নেয়। চাটখিলের কাঁচারি বাজার থেকে হালিমা দিঘির পাড় হয়ে চাটখিল বাজার, এখান থেকে ১১নং পোলের গোড়া থেকে দশঘরিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। চাটখিল পৌরসভার দক্ষিণ পাশে পৌরসভা কার্যালয়ের সাথে রাস্তার উত্তর পাশের দোকানগুলো রাস্তার উপর তোলা হয়েছে। এরপর জননী পরিবহনের বাসস্ট্যান্ড। এখানে যানজট প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। এ দোকানগুলোর প্রতিটি দোকান ১১ লক্ষ টাকা বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে দখলদারদের বিরুদ্ধে। দখলদাররা অন্যান্য স্থাপনাগুলো অগ্রিম মাসিক ভাড়া সহ বিভিন্নভাবে ভাড়া দিয়ে ভোগ করছে। তাছাড়া চাটখিল-বদলকোট সড়কের পূর্ব পাশে পৌর সুপার মার্কেট ও সেজান পয়েন্টের মাঝখানে ৩০/৩৫টি দোকান ছিল।

এগুলো উচ্ছেদ করা হলে পাশের জমির মালিক এ জায়গা স্টীলের সীট দিয়ে মজবুত ঘেরাও দিয়ে দখল করে রেখেছে। এভাবে রাস্তার উত্তর পাশে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে সড়ক ও জনপথ অফিসের পাশে, অফিস থেকে থানা রোড, এখান থেকে ১১নং পোলের গোড়া হয়ে দশঘরিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে কয়েকশত দোকানপাট অবৈধ দখলে রয়েছে। জননী ষ্ট্যান্ডের চালক জয়নাল জানান, রাস্তার উত্তর পাশের জায়গা দখল করে দোকান করেছে, তারা বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর গাড়ী রাখতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, শ্রমিক-মালিক চাঁদা ও জিপি দিয়ে আসছেন।

এভাবে চট্টগ্রামগামী ৩/৪টি পরিবহন সহ অন্যান্য যানবাহন পাশের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় রাস্তার উপর গাড়ী রাখতে হচ্ছে। এতে যানজট লেগেই থাকে লোকজনকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা জানান, তিনি জেলা সমন্বয় সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অবহিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে অচিরেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল জানান, শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by