সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। তবে প্রথমদিন দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে আরডিএ মার্কেট ও সাহেববাজারের দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় প্রায় পৌনে একঘন্টাব্যাপী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করতে থাকেন তারা। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

ব্যবসায়ী নেতারা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আন্দোলন স্থগিত করে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলতে বলেছেন। তারা আগামীকাল জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক করবেন। তবে দাবি মানা না হলে আবারও আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তারা।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, গত বছর লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সামনে রমজান মাস। ব্যবসা করার মৌসুম। এসময় দোকানপাট বন্ধ থাকলে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার দাবিও জানান তারা।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে চান। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকেই সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। শপিং মল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে রোববার ব্যবসায়ীরা এক সংবাদ সম্মেলনে দোকানপাট খোলা রাখার দাবি জানান।

এদিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীর সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট এলাকায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পড়লেও শারীরিক দুরত্বের বালাই ছিল না। কেউ কেউ মাস্ক পড়ছেন আগের মতোই থুতনিতে। সকাল থেকেই আরডিএ মার্কেট, সাহেববাজার বন্ধ থাকলেও মুদিখানা, কাঁচাবাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো খোলা রাখা হয়। বন্ধ রাখা হয় আরডিএ মার্কেট, সাহেববাজার ও নিউ মার্কেটের মত বড় শপিং মল। লকডাউনে শহরে অটোরিকশা চলছে স্বাভাবিকভাবেই।

নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেট ও বিপণীবিতানগুলো রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুরপাল্লার গাড়িও বন্ধ করা হয়েছে। জনগণকে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।