প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২০ , ৪:২৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আটককৃতরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। তারা সম্প্রতি কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ‘গোলাগুলি’র ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত দুদিনে খুন হয়েছে তিনজন। সর্বশেষ গতকাল সোমবারও কুতুপালং ক্যাম্পে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর ভোররাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মুখে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং এলাকা থেকে ছেড়ে চাকমারকুলের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় গোলাগুলি করেছিল। দুদিন আগে র্যাব তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে তারা কুতুপালং ছেড়ে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার পাহাড়ে অবস্থান নেয়। গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ৯ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুনের ঘটনা নতুন নয়। এ ধরনের ছোট-বড় ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।
এদিকে, গত কয়েক দিনের গোলাগুলি ও খুনের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েক’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন।