দেশজুড়ে

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন ২ মাস ধরে তালাবন্ধ

  প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৫১:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন ২ মাস ধরে তালাবন্ধ

বাগেরহাটের শরণখোলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে কক্ষে প্রায় দুই মাস ধরে তালা ঝুলছে। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফী) আল্লামা ইকবাল মোর্শেদ বদলি হয়ে এক্স-রে কক্ষে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে চলে গেছেন। যে কারণে মেশিন থাকার পরও এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারি এই জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এক্স-রে বন্ধ থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগী কার্যালয় থেকে গত ২০ আগস্ট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফী) আল্লামা ইকবাল মোর্শেদকে বদলি করা হয়। ওই দিন তিনি যশোর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি এক্স-রে মেশিন ও মালামাল কোনো কিছুই বুঝিয়ে না দিয়ে কক্ষে তালা লাগিয়ে চলে যান।

তার স্থলে চন্দন দাস নামে নতুন একজন কার্ডিও গ্রাফার যোগদান কললেও এক্স-রে কক্ষ বন্ধ থাকায় কোনো কাজ করতে পারছেন না তিনি। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক এই এক্স-রে মেশিনটি। এক্স-রে কক্ষের তালা খুলে মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আল্লামা ইকবাল মোর্শেদকে বার বার ফোন করা হলে আজ আসি কাল আসি করে কালক্ষেপন করছেন। যার ফলে সাধারণ রোগীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আল্লামা ইকবাল মোর্শেদ ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে এপর্যন্ত দুটি এক্স-রে মেশিন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে নতুন অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপনের পর তাও বার বার ত্রুটি দেখানো হয়। তার যোগদানের পর থেকে এপর্যন্ত ৩১ বার এক্স-রে মেশিন মেরামতের জন্য ন্যাশনাল ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ সেন্টারে (নিমিউ) আবেদন করা হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই সহসভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন ও এম ওয়াদুদ আকন বলেন, শরণখোলা হাসপাতালের এাক্স-রে মেশিনটি প্রায় দুই মাস বন্ধ। এতে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সেবা বঞ্চিত মানুষের মাঝেও ক্ষোভ বাড়ছে। তারা এক্স-রে মেশিনটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে আতাত করে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি কৌশলে নষ্ট রেখে রোগি বাইরের ক্লিনিকে পাঠাতেন ইকবাল মোরর্শেদ।

একারনে তিনি তদ্বির করে আবার শরণখোলায় দবলি হয়ে আসার চেষ্টা করছেন বলে চাবি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেডিওগ্রাফী আল্লামা ইকবাল মোর্শেদের মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by