ঢাকা

শ্রীপুরে কৃষক পরিবারকে মামলায় হয়রানি

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২১ , ৫:১৭:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্তের বিরোধের জেড় ধরে কৃষক পরিবারকে জমি বিক্রিতে বাঁধা,জমিতে বসতবাড়ি নির্মানসহ বিভিন্ন ধরনের একের পর এক হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কৃষক পরিবারের পক্ষে বেড়াইদেরচালা গ্রামের মৃত মৌলভী নরুল ইসলামের ছেলে আজহার আলী প্রধান (৫৫) বাদী হয়ে ২জনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার ওয়ারেশ আলী প্রধানের ছেলে কামাল হোসেন প্রধান(৩৬) ও মৃত কুদ্দছ আলীর ছেলে নছ মিয়া (৫৩)।

থানার অভিযোগে জানা যায়,পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া বহুবছর ধরে শান্তির্পূণভাবে জমিতে বাড়িঘর ও বিভিন্ন ধরনের ফলদ ও বনজ গাছপালা রোপণ করে কৃষক আজহার আলী ভোগ দখলে আছে। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ নছ মিয়া জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা শুরু করছে। জমিতে কাজর্কম বা ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা প্রদান ও সীমানা পিলার উঠাইয়া নিয়া যায়। নছ মিয়া ভিন্ন ভিন্ন ৪টি দলিলমূলে আগেই জমি বিক্রি করে ফেলেছে এখন ওইসব দাগে তাদের কোন জমি না থাকায় আজহার আলীর জমি জোড়পূর্বক দখল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা আমাদের জমির আর.এস ৬৮৬৯ ও ৬৪৩৯ দাগে বাড়ির কাজ করতে গেলে নছ মিয়া গং অহেতুক বাধা প্রদান করে আমাদের একের পর এক হয়রানি করছে।

আজহার আলী জানান,প্রতিপক্ষ নছ মিয়া ২০০২ সালে আমাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ ৭বছর তদন্ত শেষে আদালত ১ যুগ পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর নছ মিয়ার পক্ষে রায় দিলে আমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ২০১৬ সালের ২ আগষ্ট আপিল করি যা বর্তমানে বিচারর্কায চলমান রয়েছে। বিগত ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতের রায়কৃত মামলাটিতে আর.এস ৬৮৬৯ এবং ৬৪৩৯নং দাগটি উল্লেখ না থাকায় উক্ত জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্ঠা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষ নছ মিয়া আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর পুনরায় ২০১৭ সালের ২৩ র্মাচ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,গাজীপুর বরাবর মিসকেইছ (নং ৯৯/২০১৬) করলে আমরা সঠিক জবাব দিই এবং বিজ্ঞ আদালত ২০১৭ সালে ১৩ ডিসেম্বর খারিজ করে দেয়।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত নছ মিয়া জানান আমরা কারো জমি দখল করেনি আজহার আলী আমাদের জমি দখল করে রেখেছে,আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় তারা জমিতে বাড়ি নির্মাণ ও জমি বিক্রি করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

শ্রীপুর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান,একটি অভিযোগ পেয়ে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by