ঢাকা

শ্রীপুরে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৩০টি পরিবার

  প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২৩ , ৮:২৫:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রীপুরে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৩০টি পরিবার

গাজীপুরের শ্রীপুরে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর ও বাড়ি নির্মাণের নির্মাণের পায়তারা করায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ২৫-৩০টি পরিবার।


এ বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ৩০টি পরিবারের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।


তারা জানান, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের শ্যারস স্কুল এলাকার আশপাশে ৫০/৬০টি পরিবারের বসবাস। স্থানীয়দের পায়ে চলার সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদ ও মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ওয়াকফকৃত জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৫০ফুট সড়কটি দখল করে একটি বাড়ি নির্মাণ করছে স্থাণীয় আবুল কাশেম। এছাড়াও সড়কের শেষ প্রান্ত থেকে অপর একটি
সড়ক ব্যক্তি মালিকানার জমি ও সরকারী গো-হালট হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিকে মিলেছে। ওই সড়কটি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন ইসলাম উদ্দিন ও আতাব উদ্দিন। এতে চলাচল রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৩০টি পরিবারের এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।


ভুক্তভোগী রমজান আলী ভান্ডারী বলেন, সড়ক দুটি দিয়ে কয়েক যুগ ধরে প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ত্রিশটিরও বেশি পরিবারের মানুষ চলাচল করে আসছে। বেশ কয়েক বছর যাবৎ সড়কটির উপর বাড়ি নির্মাণের পাঁয়তারা ও পেছনের সড়ক দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অবরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ৩০টি পরিবারের। আমরা এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী
কমিশনার (ভূমি), তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ভূমি অফিসে অভিযোগ দাখিল করা হয়।

অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার মাপঝোক করে বাড়ি নির্মাণ বন্ধের কথা বলা হলেও কিছু দিন বন্ধ রেখে এখন পুনরায় কাজ শুরু করেছে।


এবিষয়ে শ্রীপুর সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আল মামুন বলেন, অভিযোগের পর পাওয়ার সরজমিন তদন্ত করে সরকারী গোহালট দখল ও চলাচলের রাস্তা বন্ধের সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদের অনুমতি চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। অনুমতি পেয়ে সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করে জনগণেরর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by