প্রতিনিধি ২১ মে ২০২২ , ৫:০৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
সিলেটে কমতে শুরু করেছে সুরমা, কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদীর পানি। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি শুক্রবারের (২০ মে) চেয়ে শনিবার (২১ মে) দুটি পয়েন্টে কমেছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি দুটি পয়েন্টে বাড়লেও কমেছে দুটি পয়েন্টে।
পাউবোর সূত্র মতে, লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানি শুক্রবারের চেয়ে আজ (শনিবার) কমেছে।
পাউবো জানিয়েছে, কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১৩ দশমিক ৬৭ মিটার। আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় এ পানিসীমা হয় ১৩ দশমিক ৬০ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে গতকাল ছিল ১১ দশমিক ০৯ মিটার, আজ সকালে হয়েছে ১১ দশমিক ০৫ মিটার।
কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় ছিল ১৭ দশমিক ০৫ মিটার। আজ সকালে পানিসীমা দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৯৬ মিটার। পানি কমেছে শেওলা পয়েন্টেও। এখানে গতকাল পানিসীমা ছিল ১৩ দশমিক ৬৩ মিটার, আজ সকালে হয় ১৩ দশমিক ৬০ মিটার।
এদিকে, নদীর পানি কমতে থাকায় সিলেট মহানগরীর বাসাবাড়ি থেকেও বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও রাস্তাঘাটে পানি থাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি জীবনযাত্রা।
অপরদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
দুর্গতরা বলছেন, এমন ভয়াবহ বন্যা বহু দিন দেখেননি। এর আগে ২০০৪ সালে বন্যায় ভেসেছিলো সিলেট।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকটে পড়েছেন নগরবাসী। নিচু এলাকায় ঘরের ভেতর হাঁটু পানির কারণে রান্না করতে পারছেন না অনেকে। জরুরি নথিসহ বিভিন্ন জিনিস নষ্ট হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পানিবাহিত রোগের আশংকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে নগর স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলছেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যাপারেও ভাবছে নগর কর্তৃপক্ষ। পানি নেমে গেলে ঘরবাড়ি সংস্কারের পাশে থাকবে সিটি কর্পোরেশন।
সিলেটের আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি কমলে এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। উজানের ঢল কমে আসছে নদীর পানিও কমবে।