বাংলাদেশ

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড কারবালার ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয় : প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১:৩৬:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কারবালার ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আজ রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যদি ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই—আজ আশুরার দিন, মোহররমের ১০ তারিখ। সেদিন মহানবীর নাতি, ইমাম হোসাইন (রা.)-কে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ, তাঁরা ন্যায়ের পথে ছিলেন। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেন কারবালার ঘটনার অদ্ভুত মিল রয়ে গেছে। এ ঘটনা সবসময় সেই কারবালার ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আরেকটি কারবালার ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতির পিতার অপরাধটা কী ছিল? একটি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। একটি জাতিকে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন, এটিই কি তাঁর অপরাধ ছিল?’

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সময় সেনা কর্মকর্তারা জঘন্য উল্লাসে মেতে উঠেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্নেল রশিদ, কর্নেল ফারুক, মেজর নূর, মেজর হুদা, শাহরারিয়ার, মোসলেহ উদ্দিন, রাশেদ, পাশা, খায়রুজ্জামানসহ অগণিত অফিসার—তারা এত বড় সাহস পেয়েছিল কার কাছ থেকে? কর্নেল রশিদ ও ফারুক বিভিন্ন বিদেশি পত্রিকায় ইন্টারভিউতে বলেছে, তাদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ছিল, জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা তারা পেয়েছিল। এ ছাড়া বেঈমানি মুনাফিকি করেছিল মোশতাক। ১৫ আগস্টের পর মোশতাক নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং মোশতাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিল জিয়াউর রহমান। মোশতাক জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। যত দিন মোশতাক বঙ্গভবনে ছিল, জিয়াউর রহমান প্রতিনিয়ত যাতায়াত করত, খুনিদের সঙ্গে বৈঠক, আলোচনা করত।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘একটানা দুই বছরও বাবাকে কাছে পাইনি। যদি হিসাব করে দেখি, আমরা দেখব, একটা বছর বাদ গেলে পরের বছরই তিনি কারাগারে। ঘরের চেয়ে জেলগেটেই দেখা করতে হয়েছে। তিনি তাঁর জীবনে এত ত্যাগ শিকার করেছেন কেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য, মানুষদের জন্য। তাঁর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ সব সংগঠনের নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, রাজপথে গুলি খেয়ে মারা গেছেন, তাঁদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার পরও তাঁরা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁরা একটা লক্ষ্য সামনে নিয়ে এগিয়ে গেছেন। সে লক্ষ্য অর্জন করতে প্রতি পদক্ষেপ তিনি পরিকল্পিতভাবে নিয়েছিলেন। বাঙালির দাবি উত্থাপন করেছেন বারবার।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by