আন্তর্জাতিক

১৭ লাখ আফগান শরণার্থীকে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৭:৫৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

১৭ লাখ আফগান শরণার্থীকে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ

অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১৭ লাখ আফগান শরণার্থীকে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকার এবং উচ্চপর্যায়ের সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি।খবর ডন, বিবিসি ও আলজাজিরার। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শরফরাজ বুগতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এসব অবৈধদের আগামী নভেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করতে হবে। স্বেচ্ছায় বা জোর করেই হোক। যদি তারা যেতে না চায়, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

সরফরাজ বুগতি সরাসরি কোনো নাম উল্লেখ না করলেও ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে তিনি যে নিবন্ধনহীন আফগান শরণার্থীদের বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট। কারণ পাকিস্তানে আফগানিস্তান ব্যতীত অন্য কোনো দেশের লোকজন শরণার্থী হিসেবে বাস করেন না।

গত কয়েক মাসে পাক-আফগান সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে ‘জঙ্গি’ হামলা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে ইসলামাবাদের। এমন বাস্তবতায় ‘অবৈধ’ আফগানদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের ঘোষণা দেন, যদিও এসময় বেলুচিস্তান প্রদেশে অপর এক হামলার কথা তিনি সরাসরি উল্লেখ করেননি।

যদিও এ সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।

পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের একটি অংশ পাকিস্তানে এসেছিলেন ১৯৭৯ সালে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর। তারপর ১৯৯৫-৯৬ সালে তালেবান সরকার প্রথমবারের মতো ক্ষমতা দখলের পর শরণার্থী হিসেবে আসেন আরও কয়েক লাখ শরণার্থী। এই শরণার্থীদের অধিকাংশই থাকেন পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে নিবন্ধিত শরণার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার জন এবং অনিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছেন ১৭ লাখের বেশি, যাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এই শরণার্থীদেরই ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by