বাংলাদেশ

৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দেওয়া নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:০৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে চাপ দিলেও প্রমাণ ছাড়া পাসপোর্ট দেবে না বাংলাদেশ। ওইসব রোহিঙ্গাদের আগে পাসপোর্ট ছিল- এমন প্রমাণ দেখাতে না পারলে পাসপোর্ট দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রী তার দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলমান এই সংকটের বিষয়ে বলেন, ৩০-৪০ বছর আগে তৎকালীন সৌদি বাদশা ঘোষণা করেন, রোহিঙ্গাদের তিনি তার দেশে আশ্রয় দেবেন। অনেক রোহিঙ্গা তখন সৌদি আরবে যায়। কিন্তু তাদের কোনো পাসপোর্ট নেই। এখন সৌদি আরব বলছে, তাদের দেশে তারা কোনো রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিকে রাখে না। তারা বলছে, রোহিঙ্গারা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে এসেছে। এ কারণে বাংলাদেশকে ওইসব রোহিঙ্গার পাসপোর্ট দিতে বলে তারা। আমরা বলেছি যে, আগে কখনও ওদের পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে এবং তারা যদি এমন প্রমাণাদি দেখাতে পারে যে, তারা কখনো বাংলাদেশে ছিল- কেবল তাহলেই তাদের পাসপোর্ট ইস্যু করব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তারা (সৌদি আরব) বলেছে, পাসপোর্ট ইস্যুর অর্থ এই নয় যে, তাদের আমরা বিতাড়িত করব। যেহেতু আমরা কোনো স্টেটলেস লোক রাখি না, সেজন্য তাদের পাসপোর্ট দরকার। এ অবস্থায় আমাদের আলোচনা হচ্ছে।

তবে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট না দিলে সৌদিতে থাকা ২২ লাখ প্রবাসীর সাথে নেতিবাচক আচরণ করা হবে বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক সব জায়গায় আছে। তারা উসকানি দেয়, উসকানি দেয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। কারণ আমাদের শ্রমিক সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে। যারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। তারা এসব বলে রটাচ্ছে।

আবদুল মোমেন বলেন, সৌদিতে ৪৬২ জন রোহিঙ্গা নিজেদের বাংলাদেশী বলে দাবি করছে। সৌদি আরব বলছে, তোমরা এদের নিয়ে যাও। ওরা বিভিন্ন অপরাধের কারণে এখন জেলে।

তিনি বলেন, আমরা চেক করে দেখেছি, ৭০-৮০ জনের মনে হয় বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছিল। বাকিদের বিষয়ে আমরা জানি না। যাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছিল, তাদের ডকুমেন্ট দিয়ে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by