প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৪ , ৭:৫০:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার পৌর শহর থেকে এক তরুনীকে তুলে নিয়ে চিংড়ি ঘেরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের নিকটাত্বীয়। ৫ জনকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মোংলা পৌরশহরের মিয়াপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া ২২ বছর বয়সী ভিকটিমের সাথে মুঠোফোনে ১০/১২ দিন আগে পরিচয় হয় উপজেলার বাশতলা এলাকার বাসিন্ধা রুমান ফকির (২৫) চিলা ইউনিয়নের বাসিন্ধা মোঃ রাসেল শেখ (২২) এর সাথে। এর পর ৩ জুন আসামীরা ভিকটিম ওই তরুনীকে সাক্ষাত করতে মোংলা কলেজের সামনে আসতে বলে।
তাদের কথায় সাড়া দিয়ে ভিকটিম ওই তরুনী সন্ধ্যার সময় মোংলা কলেজের সামনে আসে। এর পর অভিযুক্ত রুমান ও রাসেল তাকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে তুলে নিয়ে যায়। উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাশতলা এলাকার বাসিন্দা মামলার ৩ নম্বর আসামি রানা শেখ এর মৎস ঘেরে নিয়ে হাত মুখ ও চোখ বেধে গনধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়লে আসামীরা রাত ১টার সময় পুনরায় তরুনীকে হাত মুখ বাধা অবস্থায় চাদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রীজের কাছে ফেলে চলে যায়।
পরে এক মোটর গাড়ী চালক মো. হুমায়ন তরুনীকে তুলে নিয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করান। এরপর ৪ জুন রাতে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তার নিকটাত্বীয় বোন। অভিযোগে তিনি ৭ জনকে আসামী করেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার উত্তর বাশতলা ইউনিয়নের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), চিলা ইউনিয়নের মৃত চান মিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২),বাশতলা ইউনিয়নের ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪),একই এলাকার ত্য়াজিত খানের ছেলে সুমন খান (২৯), বাশার মোছল্লীর ছেলে মিজানুর মোসল্লী (৩৬), মৃত আ. রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫)। ভিকটিম ওই তরুনী মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চিংড়িঘেরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ৭জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের ও সকল আইনানুক প্রক্রিয়া শেষে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।