প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৩২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষীপুর প্রতিনিধি :
খেলাধুলা আনন্দ ছাড়া দৈহিক বৃদ্ধি ও শারীরিক সুস্থতার অন্যতম উৎস। এটি শিক্ষার্থী তথা মানুষের মানসিক বিকাশ লাভেও সহায়ক। যার জন্য অনস্বীকার্য খেলার মাঠ। যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু ল²ীপুর সরকারি মহিলা কলেজে হচ্ছে তার বীপরিত। মাঠ থাকলেও সেখানে নেই খেলার ব্যবস্থা। থাকবেই বা কি করে, প্রতিষ্ঠান যদি কিছু সুবিধার লোভে করেন সবজি চাষ।
অভিভাবক ও কয়েকজন ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, লক্ষীপুর সরকারি মহিলা কলেজের দুইটি ক্যাম্পাস রয়েছে। একটি পৌর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ ও অপরটি পৌরসভার ৪ নং ওয়াডস্থ ল²ীপুর -মজু চৌধুরীর হাট সড়কের পাশেই অবস্থিত। পুরাতন থেকে নুতন ক্যাম্পাসটির দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। দক্ষিণ বাঞ্চানগর এলাকায় অবস্থিত নতুন ক্যাম্পাসটিতে রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ। প্রায় ২ একর জায়গার কিছু অংশে ২টি অ্যাকাডেমীক ভবন যার মধ্যে একটি নির্মানাধীন ও ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। যদিও উদ্বোধনের দীর্ঘ সময় পার হলেও হোস্টেলটি চালু করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ভবনগুলো ব্যতিত পুরো জায়গা জুড়েই রয়েছে মাঠ।
মহিলা কলেজের এই ক্যাম্পাসে মাঠ থাকলেও নেই খেলাধুলার কোন সুব্যবস্থা। কারণ, মাঠজুড়ে করা হয়েছে বেগুন, টমেটু, ঢেঁড়স, কাঁচামরিচ, বাদাম, সূর্যমুখী ফুলসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ মাঠে শুধু খেলাধুলা নয় কয়েকজন একত্রে বসে গ্রুপ স্ট্যাডিও করা যায় না। পুরো মাঠ জুড়েই সবজি বাগান। শিক্ষকরা ছাত্রীদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের চেয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আমারা চাই, কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্তত অ্যাকাডেমীক ভবণের সামনের মাঠটি দ্রæত সবজি বাগান অপসারণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
অভিভাবকরা জানান, ছাত্রীদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠের বিকল্প নেই। সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য প্রয়োজন খেলাধুলার। মন যদি প্রফুল্ল না থাকে তবে পড়ায় মন বসবে না ছাত্রীদের। কিছু আর্থিক সুবিধার জন্য খেলার মাঠে সবজি চাষ খুবই দুঃখজনক।
সবজি বাগান দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গোবিন্দ চন্দ্র ও আনোয়ার হোসেন নামের দুইজন অফিস সহকারি। গণমাধ্যমকে গোবিন্দ জানান, কলেজের দুইটি ক্যাম্পাস রয়েছে। পুরাতনটিতে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকায় এখানে অধ্যক্ষ’র নির্দেশক্রমে সবজি চাষাবাদ করেছেন। কলেজ মাঠে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে। উৎপাদন খরচ ব্যতিত অবশিষ্ট টাকাগুলো অধ্যক্ষ মহোদয় যেখানে জমা দিতে বলবেন সেখানেই জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ল²ীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার ইউসুফ হোসেন রাইজিং বিডিকে জানান, মাঠ পরিস্কার রাখতেই সবজি আবাদ করা হয়েছে। কলেজ মাঠে কোন কৃষি খামার করা হয়নি। তবে, ছাত্রীদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত ও পরিস্কার করার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।