প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৫ , ৪:১৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
“নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৫’। দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত ১৯টি এতিমখানার নিবাসীদের নিয়ে ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, চিত্রাঙ্কন ও হস্তশিল্প প্রতিযোগীতা, ওয়াকাথন, কল্যাণরাষ্ট্র বিষয়ে মুক্ত আলোচনা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও এতিমখানা নিবাসীদের পোশাক এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শীতবস্ত্র বিতরণ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে ‘ওয়াকাথন’ শুরু হয়ে চন্দনাইশ পৌরসভা কার্যালয় পর্যন্ত সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কল্যাণরাষ্ট্রবিষয়ক মুক্ত আড্ডা, পুরষ্কার ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা।
সমাজসেবা কার্যালয়ের সুপারভাইজার মো. শফিউল আজিমের সঞ্চালনায় মুক্ত আড্ডায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সাল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনম ছালেহ উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মীর ইমরান হোসেন, কোডেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহমুদুল হক, শাহসূফি মমতাজিয়া এতিমখানা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চন্দনাইশ উপজেলা সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠনক হাসনাত আবদুল্লাহ।
পরে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার এবং পাঁচজন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ, এতিমখানার ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পোশাক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ৪০ জন রোগীকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
উপজেলার ১৯টি এতিমখানার নিবাসীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া এতিমখানা এবং রানার্সআপ হয় আলহাজ্ব সোনা মিয়া চৌধুরী এতিমখানা। ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন হয় হাছনদন্ডী রহমানিয়া শুকুরিয়া শিশু সদন এবং রানার্সআপ হয় সাতবাড়ীয়া শাহসুফি আমানত (রঃ) শিশু সদন।
চিত্রাংকনে প্রথম হয়েছেন দোহাজারী রায় জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার মো. তামিম, জোয়ারা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও এতিমখানার আদনান রহমান আসফিক দ্বিতীয়, হাছনদন্ডী রহমানিয়া শুকুরিয়া শিশু সদনের তৌহিদুল ইসলাম তৃতীয়, হযরত শাহসুফি মমতাজিয়া মোহাম্মদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার মো. মফিজুর রহমান চতুর্থ এবং জাফরাবাদ সিনিয়ার মাদ্রাসা ও এতিমখানার মো. ইসহাক পঞ্চম স্থান অর্জন করেন।
হস্ত শিল্পে প্রথম হয়েছেন জামিরজুরী রজবিয়া আজিজিয়া এতিমখানার কামরুল হাসান, দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার মো. রাসেল দ্বিতীয়, জাফরাবাদ সিনিয়ার মাদ্রাসা ও এতিমখানার মো. বিন তামিম তৃতীয়, দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার মো. সানিম চতুর্থ এবং মোঃ তামিম পঞ্চম স্থান অর্জন করেন।