চট্টগ্রাম

জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজে তারুণ্যের উৎসব

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৭:৪৮:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজে তারুণ্যের উৎসব

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারুণ্যের উৎসব।

এউপলক্ষে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কলেজের নতুন ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও বইমেলার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে ফুটে উঠে। এছাড়া কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

প্রতিষ্ঠানটির দাতা সদস্য আলী আজম খানের সভাপতিত্বে এই তারুণ্য উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন।

উদ্বোধক ছিলেন-আকবর সেভেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী আকবর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বিপিন চন্দ্র রায়, জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আখতার হোসেন খান ও আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষক জাফর আহমদ, ফরিদ আহমদ ও কবির হোসাইন, খান প্লাজা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. আবদুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তণ শিক্ষার্থী কবি জাহাঙ্গীর আলম।

প্রতিষ্ঠানটির প্রভাষক মো. ইব্রাহিম খলিল ও শিক্ষক দীপায়ন মন্ডলের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী অধ্যাপক মোহররম আলী, ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জিনিয়ার লিখন কান্তি দাশ, হেপী দাশ, আবু তারেক খান, প্রভাষক জাবেদ ইকবাল, রাশেদুল ইসলাম, দেবাশীষ বড়ুয়া, বিটু মুহুরি প্রমূখ।

এ উৎসবে ১৬টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ২০ প্রকারের পিঠার প্রদর্শনী ও বিক্রির আয়োজন করা হয়। নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, সাঝের পিঠা, আতিক্কা পিঠা, জামাই পিঠাসহ নানা স্বাদের পিঠার ঘ্রাণে মুখরিত ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। স্টল গুলোতে পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রির প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এসব স্টল সাজিয়ে পরিবেশন করেন পিঠার স্বাদ। শুধু পিঠার প্রদর্শনী নয়, উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে এক জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাচ, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। 

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “তরুণদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া পিঠা সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ করতেই এই উৎসব। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে।”

উপস্থিত অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও উৎসবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ধরনের উদ্যোগ আগামী প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন তারা।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে আকবর সেভেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী আকবরের অর্থায়নে নির্মিত আকবর সেভেন ফ্লোর ও আইসিটি ল্যাব এর উদ্বোধন করার পাশাপাশি পিঠা স্টল গুলো ঘুরে দেখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব হোসেন সহ অতিথিবৃন্দ।

আরও খবর

Sponsered content