খুলনা

পাইকগাছায় ঈদের কেনাকাটার ধুম, ব্যস্ত দর্জিরা

  প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৮:০১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

পাইকগাছায় ঈদের কেনাকাটার ধুম, ব্যস্ত দর্জিরা

পবিত্র রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার উৎসব।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে ঈদের পোশাক খুঁজছেন। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হবে।

অন্যদিকে, উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের দর্জি, ট্রেলার্স ও কারিগররা পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট ও প্যান্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে শপিং মলগুলোতে জমে উঠছে কেনাকাটা।

ঈদের সময় কেনাকাটার মজাই আলাদা। জন্মের পর থেকেই ঈদে কেনাকাটা চলছে। এ সময় সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অন্য রকম আনন্দও বিরাজ করে।

ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। শাড়ির বেচাকেনাও চলছে।

কসমেটিকস পণ্য বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে বেচাকেনা ছিল না। বর্তমানে বেচাকেনা বেড়েছে।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন রেডিমেট কাপড় ও থ্রি পিসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। দামের কারণে অনেকেই পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই ফুটপাত এবং হকারদের মার্কেটে ভিড় করছেন।

ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে উপজেলার ছোট বড় দোকানগুলো। স্বল্প আয়ের মানুষদের ভরসাস্থল ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও জামা কাপড় জুতো স্যান্ডেল নিয়ে প্রস্তুত। জরি পাথর কাঁচ চুমকীর কাজ করা জমকালো পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোয়।

এছাড়াও অনেকেই পছন্দের কাপড় কিনে ভিড় জমাচ্ছেন দর্জি বাড়ি ও পছন্দের টেইলার্সে।

পাইকগাছা পৌর সদরে বড় ব্যবসায়ী ফজলু ক্লাথ ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতারা কাপড়ের দোকানগুলিতে কেনাকাটায় ভীড় জমাচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছি।

আল মদিনা মার্কেটের সানমুন ট্রেলার্সের স্বত্বাধিকারী শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এ ঈদে পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট ও প্যান্টের অর্ডার অনেক বেশি। আমার প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন দর্জি নিয়মিত গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদের আগে সব অর্ডার ডেলিভারি দেব ইনশাআল্লাহ।

Powered by