প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২১ , ৮:৩৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ৭৯ নং মনাইরকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সরজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার নির্মানের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার হীন মানসিকতা থেকেই ৭৯ নং মনাইরকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান ও সদস্য মনির হোসেন সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী কাজ করছেন। অহিদুজ্জামান ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশ ও জেলা পরিষদ এবং জনস্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক নির্ধারিত স্থান স্কুল মাঠের পূর্ব পাশে শহীদ মিনারটি না করে, তার বিপরীত পাশে (অর্থাৎ পশ্চিম পাশে) হঠাৎ করেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু জায়গাটি নির্ধারিত ছিল দ্বিতল ওয়াশ বøক ভবনের জন্য।
স্কুলের মাঠ এমনিতেই ছোট, এখানে শহীদ মিনারটি নির্মিত হলে সংকুচিত হয়ে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠ ও বেদখল হয়ে যাবে পুকুরপাড়। আর জায়গার অভাবে তাতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওয়াশ বøকের টয়লেট নির্মানের কাজ। স্কুলের মাঠের পশ্চিম পাশে পুকুরপাড়, যেখানে সোনারগাঁ উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের বরাদ্দকৃত ওয়াশ বøকের টয়লেট নির্মানের কথা রয়েছে, যা করোনার কারনে কাজ বন্ধ আছে। এ অবস্থায় এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছে ও সরকারি কাজের ব্যঘাত ঘটাচ্ছে।
এ ঘটনায় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটি ও স্থানীয়দের আবেদনের ফলে এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালীউল্লাহ ও সোনারগাঁও উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাজমুল হাসান এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেন এবং বলেন আগে ওয়াশ বøকের কাজ শেষ করে পূর্বপাশে শহীদ মিনারের জন্য নির্ধারিত স্থানে করার জন্য। কিন্তু তারা নির্দেশনা না মেনে স্কুল উন্নয়নের (ওয়াশ বøক নির্মাণ) কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একপ্রকারের সন্ত্রাসী কায়দায় জোর পূর্বক ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোন স্থাপনা করতে হলে স্থান নির্ধারণ এর সাথে প্যাটার্ন অনুমোদিত হতে হয়। নির্মাণাধীন শহীদ মিনারে সাথে দেশের কোনো শহীদ মিনারের নকশার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে শুধু ১১ টি পিলার তৈরি করে রাখা হয়েছে। যাহা, ৫২ এর ভাষা শহীদদের রক্তের সাথে এক প্রকারে তামাশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামানের সাথে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।