প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২১ , ৬:৫৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
আতাউর রহমান, ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই। বালু মহাল ঘোষনা না করা সত্বেও একটি মহল সিন্ডিকেট করে বালু উত্তোলন করছে। এদিকে বালু উত্তোলনের কারনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী গ্রামগুলো। মাঝে মাঝে প্রশাসনের অভিযানের কারনে এখন রাতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
সুগন্ধা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট বেড়িবাাঁধ, দিয়াকুল খেয়াঘাট পারাপারের ব্রীজ, কিস্তাকাঠি সাইক্লোন শেল্টার, কিস্তাকাঠি মসজিদ ও খেয়াঘাট, দিয়াকুলের মসজিদ, মাদ্রাসা ও খেয়াঘাটসহ শতশত বসত বাড়ি ও আবাদী জমি ইতোমধ্যেই নদীতে গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া ভাঙনের কারনে হুমকির মুখে রয়েছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। ঝালকাঠি শহরের গুরুত্বপ‚র্ন কুতুবনগর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকাটিও এখন হুমকির মুখে রয়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছে, কোনভাবেই বালু উত্তোলন থামানো যাচ্ছেনা। দিনে অভিযান হওয়ায় এখন রাতে ৩০ থেকে ৪০ টি ড্রেজার লাইন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। রাতে শুরু হয়ে সকাল পর্যন্ত চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
ড্রেজারের মেশিনে বালু টান দেয়ায় নদীর তীরের গ্রাামগুলোর মাটি ধ্বসে নদীতে নেমে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী নদীর তীরে মানববন্ধনসহ নানা কর্মস‚চী পালন করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। তাই নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো রক্ষায় এখন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জানালেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দিনের তৎপরতা বন্ধ করা হয়েছে। রাতে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে যাবার আগেই তারা পালিয়ে যায়। তবে এসব বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।