শিক্ষা

নববর্ষ বরণে প্রস্তুত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২২ , ৭:৪২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. আরাফাত রহমান: জাককানইবি প্রতিনিধি :

 

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সারা দেশের মত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়েও সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে । মহামারী করোনায় দুই বছর বিরতির পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফের সশরীরে আয়োজন হতে যাচ্ছে পহেলা বৈশাখ। এতে থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী পালার আয়োজন। এর আগের সন্ধ্যায় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের মঙ্গল কামনায় ফানুস উৎসব করা হবে ।

 

এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের নানা অনুষঙ্গের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। ক্যাম্পাসের গাহি সাম্যের গান মঞ্চ ও চারুকলা বিভাগ ঘুরে দেখা যায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে টেপা পুতুল, রাজা-রানি ও সূর্যের পেপার ম্যাশ, হাতি, বাঘ, দোয়েল ও পেঁচার মুখোশ ও আমন্ত্রণ পত্র বানাচ্ছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এসব উপকরণ তৈরিতে। রং-তুলির আঁচড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাঙিয়ে তুলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনকে।

 

বৈশাখী আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ড. সিদ্ধার্থ দে বলেন, এবার আমরা লোকজ ঐতিহ্যবাহী মুখোশ,প্যাঁচার মাস্ক, হাতি, বাঘ, পোস্টার ম্যাশ, রিকশা টানাসহ বিভিন্ন ধরনের মুখোশ তৈরির হাতের কাজের আয়োজন করেছি। এখন চলছে রং করার কাজ। ওদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এত কিছু সুন্দর ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রকাশ করি আমরা সামাজিক ও মানবিক।

 

আয়োজক কমিটির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ বলেন, এত সুন্দর কাজ করার পেছনে সম্পূর্ণ অবদান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আয়োজনকে স্বার্থক করে তুলতে। সঙ্গীতানুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, নাটিকা সবকিছু থাকছে এবারের পহেলা বৈশাখে।

 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘বঙ্গাব্দের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাসের সাথে যুক্ত। আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে চলছে। তারই কার্যক্রম হিসেবে আমরা খুব করে চাচ্ছি নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে । এবার যেহেতু রমযান মাস তাই রমযানের সম্পূর্ণ পবিত্রতা রক্ষা করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করব।’