বাংলাদেশ

চৌমুহনীতে হামলা, স্থানীয় আ.লীগের ভূমিকা নিয়ে কাদেরের প্রশ্ন

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ৫:১৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার সময় সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে তিনি নিজে ওই ঘটনায় দুঃখ ও লজ্জা পেয়েছেন বলে জানান।

জেলা আওয়ালী লীগ নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘ভোট এলে হিন্দুদের কাছে গিয়ে আমরা যারা মায়াকান্না করি, হিন্দু দরদ দেখাই। হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি কেন? এ প্রশ্ন আপনাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম।’

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা চৌমুহনীতে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্য়ালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।

নোয়াখালীর দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘চৌমুহনীতে গত ১২ বছর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। নোয়াখালিতে পূজামণ্ডপে কোনো হামলা হয়নি। এবারের তাণ্ডবটা কেন হলো, কীভাবে হলো, আমি সেখানকার নেতৃবৃন্দকেই সেটা প্রশ্ন রাখতে চাই। কুমিল্লায় যখন ঘটেছে, এতগুলো পূজা মণ্ডপে, চৌমুহনীতে, আপনারা কেন সতর্ক হলেন না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের এত বড় সংগঠন এত কর্মী বাহিনী। কুমিল্লার ঘটনার পর দিন, চৌমুহনির ঘটনা ঘটেছে। যদি কঠোরভাবে সতর্কতা আপনারা অবলম্বন করতেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকলে এদের এত দুঃসাহস হতো না, এ রকম তাণ্ডব চৌমুহনীতে তারা করে গেল।’

সবকিছু প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হয় না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এতগুলো মণ্ডপ চৌমুহনীতে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিলো। আপনারা কি নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটা প্রতিরোধও তো হলো না, এটা নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে আমাকে দুঃখ দিয়েছে। আমি নিজে লজ্জা পেয়েছি। কী জবাব দেব আজকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেখানে ২টি প্রাণহানি ঘটলো। আমাদের বিবেক কি আলোড়িত হচ্ছে না? আমি বলবো, দায়িত্বপালনে ব্যর্থতা আছে। সেটা নিজেরা খুঁজে বের করুন। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে আপনাদের সতর্কতার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

বক্তব্যে যে কোনো অবস্থায় দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

চৌমুহনীর ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, ঘটনার পর পরই স্বপনকে (আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন) পাঠিয়েছি, সুজিত, সেলিম, অসীম ও ১৪ দলের নেতারা গেছেন। আমি শারীরিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ মত চলছি। যে কারণে আমি ঢাকার বাইরে যাচ্ছি না। তা না হলে আমি অবশ্যই ছুটে যেতাম। চৌমুহনি, কুমিল্লায়, হাজীগঞ্জে, আমার যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু নেত্রী বললেন, নেতৃবৃন্দকে পাঠাও আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও খবর

Sponsered content