প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২০ , ৫:৩৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের রতনপুর শেকের পাড়া গ্রামে ৮ বছরের এক শিশু উম্মে আক্তার সিনথিয়াকে হারিয়ে বাবা-মা এখন পাগল প্রায়। মুখের ভাষা একটাই আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও। গত ৬ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির উঠুনে শিশুটি একাই খেলা করছিল কিছুক্ষন পর দেখা গেল শিশুটি নেই। পাড়া প্রতিবেশী বাড়ি, আত্বীয় স্বজন, গ্রাম ও দুর দুরান্তে মেয়েকে খোঁজ করা হয়েছে কোথাও পায়নি। ওই দিনই রাইেত নবীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। কিন্তু শিশুটির উদ্ধারে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ উঠে। গত (১১/০৬/২০২০) সাংবাদিকরা হাজির হয়েছিলেন হারিয়ে যাওয়া শিশুটির বাড়িতে। মেয়ে কে না পাওয়ার শোকে আহাজারি আর আর্তনাদে বাড়ি ও গ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। শিশুটির বাবা আজাহার আহম্মেদ বলেন, গ্রামে আমার কোন শক্র নেই, আমি সামাজিক সকল কাজেই সবার পাশে থাকি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমি ঢাকায় বসবাস করি গত দেড় মাস আগে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসি। আমার মেয়েকে কেউ নিয়ে গেছে। কাউকে সন্দেহ হয় কিনা প্রশ্নের জবাবে আজাহার বলেন, আমি কাউকে সন্দেহ করছি না, গ্রামের ইকবাল ডাক্তারের সাথে জমি নিয়ে একটি মামলা মোকদ্দমা ছিল সেটা শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়ে হারিয়ে যাওযার পর গ্রামের এবং সকল আত্বীয় স্বজন আমাকে আমার পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে আসে কিন্ত আমারই সম্পর্কে চাচাতো ভাই ইদ্রিস আর অপু মিয়া তারা এখন অবদি আমাকে কোন সহানুভূতি দেখাতে আমার বাড়িতে তারা আসেনি। আমি সব বিষয় পুলিশকে খুলে বলেছি, কিন্তু আমার মেয়েকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশের কোন তৎপরতা দেখছি না। শিশুটি’র মা সাবিনা বেগম বুকফাঁটা আর্তনাদ করে শুধু একটি বাক্যই উচ্চারণ করছিলেন ‘আমাকে মেয়েকে এনে দাও’। রতরনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বলেন, মেয়েটি অনেক খুঁজেছি আমরা, কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশের কোন তৎপরতা আমরা দেখছি না। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ফারুক বলেন, আজাহারের পরিবার সাথে গ্রামের কোন বিষয় কারোর সাথে কোন দ্ব›দ্ব নেই, আমরা বুঝতে পারছি না কি কারনে কেই বা শিশুটিকে নিয়ে যাবে কিন্তু পুলিশের কাছ থেকেওতো কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পারছি না। এ ব্যাপারে নবীনগর থানা প্রশাসন সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন বলেন, শিশুটিকে খোঁজার ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত আছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কাজ চলছে ।