প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:৩৮:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিতে উকিল আবদুস সাত্তারের অভাব নেই। বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে তলে তলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও বুঝে গেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই। এটা বুঝতে পেরে আজকে ফখরুলের মনের জোর কমে যাচ্ছে। মনের জোর কমছে গলার জোর বাড়ছে। এখন প্রতিনিয়ত অদ্ভুত অদ্ভুত কথাবার্তা বলছে। এখন মনে হয় বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক ফখরুল যেভাবে পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় না দুর্ঘটনা হয়ে যায়। রাজনীতির দুর্ঘটনা ঘটার পথে হাটছে বিএনপি। এই অপশক্তিকে ঠেকাতে হবে।’
‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। দেশের ভেতর সবাই জানে কে সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালত বাংলাদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিএনপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি, আর বিএনপি বলে সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ। মাথা খারাপ হয়ে গেছে, মাথা বিকল হয়ে গেছে বিএনপির। এখন সন্ত্রাস করবে এ জন্য আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাস বলছে। গলাবাজি করছে। তারা সেটা করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপায়। তারা সন্ত্রাস করবে। ষড়যন্ত্রের প্রধান অনুষঙ্গ সন্ত্রাস।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে। ঘৃণা করে বলেই ১৪ বছর ধরে একনাগারে শেখ হাসিনা ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে মানুষের জন্য। আর বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে তাদের পকেটের জন্য। বিএনপির আন্দোলন রং-বেরঙ্গের রংধনু আন্দোলন। কখনো পদযাত্রা, কখনো অবস্থান কর্মসূচি। এই রংধনু আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের কোন সাড়া জাগাতে পারেনি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। জ্বালানির দাম কমবে। বৈশ্বিক সংকটে দেশের মানুষের কষ্ট অনুভব করেন শেখ হাসিনা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির ৫২ দল, এখন কয় দল আছে জানি না। মান-অভিমানের পালা চলছে। এটা করতে করতে জোট কত সংখ্যা হয় সেটাই ভেবে দেখা দরকার। বাম-ডান একাকার। জগাখিচুড়ি ঐক্য। বিএনপির জগাখিচুড়ি ঐক্য গতবারও টেকেনি, এবারও টিকবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে রাখব জীবনের বিনিময়ে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঠিকানা বিএনপি। এই অপশক্তিকে রুখতে হবে, প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।