ঢাকা

আশুলিয়ায় ফার্নিচারের আড়ালে মাদকের ব্যবসা

  প্রতিনিধি ৩০ জুলাই ২০২৪ , ৪:০২:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় ফার্নিচারের আড়ালে মাদকের ব্যবসা

আশুলিয়ায় ফার্নিচার এর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে সাদ্দাম নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

আশুলিয়ার জামগড়া চিত্রশাইল এলাকায় থেকে সে বিভিন্ন স্থানে এই মাদক সাপ্লাই দিয়ে আসছে বলে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।  

শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার মাঝিকান্দি গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে মো. সাদ্দাম সরদার। সে দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার জামগড়া চিত্রশাইল এলাকার ডায়মন্ড কারখানার সামনে ফার্নিচার ব্যবসার আড়ালে গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

এলাকাবাসী জানান, ফার্নিচার ব্যবসায়ী সাদ্দাম সে নামে ব্যাবসা করে। মূলত তার ব্যাবসা হলো গাঁজা ও ইয়াবা সাপ্লাই দেওয়া। দীর্ঘদিন ধরে সে এই মাদক ব্যবসা করে আসছে। এর আগে সে মাদক সহ পরপর দুইবার আটক হয়।

পরে জামিনে বেড়িয়ে এসে  আবারও এই ব্যবসা করছে। আমাদের এলাকায় ১০ তলা নামে একটি মাঠ আছে। ওই মাঠ সংলগ্ন একটি ওয়ালের চিপায় সাদ্দাম প্রতিদিন বেলা ১১টাকা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গাঁজা ও ইয়াবা সাপ্লাই দেয়। এই কাজের প্রতিবাদ করলে সে তার সেল্টারদাতাদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হুমকি হামকি দেয়। এই মাদকের ছোবলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীকে উপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমে যাতে করে অত্র এলাকায় আর মাদক ব্যাবসা না করতে পারে এই জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

আকাশ নামের এক দিনমজুর বলেন, মাদক ব্যাবসায়ী সাদ্দাম আমার কাছে কিছু টাকা পাওনা ছিলো। এরআগে কিছু টাকা দিয়েছি আরও কিছু টাকা পাবে। ২২শে জুলাই দুপুর ২টার সময় আমি আমার কর্মস্থলে কাজ করছিলাম। এমন সময়ে সে আমাকে ফোন দিয়ে বললো তুই কই আছো। আমি কাজ করছি বলে তাকে জানাই। পরে সে আমার কর্মস্থলের ৩০০ গজ দূরে এসে আমাকে ফোনের মাধ্যমে তার সাথে দেখা করতে বলে। তার কথামতো আমি যথাস্থানে যাই।

এসময় সাদ্দাম এবং তার ৪-৫ জন সহযোগী আমার পেটে চাকু ঠেকায়। এবং বলে কোন কথা বলবি, তাহলে এই চাকু দিয়ে তোকে পার দিবো এই বলে আমাকে অটোচালিত ইজিবাইকে জোর পূর্বক তুলে নেয়। চিত্রশাইল ১০তলার ওখানে নিয়ে আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গাঁজা সেবন করায় এবং মাথার পিছনে কি দিয়ে আঘাত করেছে তা আমি জানি না। এতে আমার মাথা ফেটে যায়।

এসময়ে আমাকে সে বলে এই মাইরের বদলে বাকি পাওনা টাকা তোকে দিতে হবে না, মাফ করে দিলাম এই কথা বলে আরও মারধর করতে থাকে। আমার চিৎকারে লোকজন এলে তারা পালিয়ে যায়। এরপরে তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শেষে কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি জিডি করি। 

এবিষয়ে সাদ্দাম বলেন, ভাই আমি মাদক ব্যাবসা করি না, তবে মাঝে মধ্যে সেবন করি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। আপনি এর আগে গাঁজা সহ পরপর দুইবার আটক হয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যা যা করণীয় তাই করবো। মাদক ব্যবসার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও খবর

Sponsered content