দেশজুড়ে

কেশবপুরে রাস্তার অভাবে মানুষের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৪:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

কেশবপুরে রাস্তার অভাবে মানুষের দুর্ভোগ

যশোরের কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের নূড়িতলা বাজার থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিঃ মিঃ মাটির রাস্তার কারনে ১০টি গ্রামের মানুষ দূভোর্গে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূড়িতলা থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা । এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার রাস্তা দু বছর আগে পাঁকাকরণ করা হয়েছে। বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুরহ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই স্বাভাবিক যানবাহন এমনকি পায়ে হেঁটে চলাও দুস্কর হয়ে পড়ে। যে সকল গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে সেগুলো সাতাইশকাটি, নেপাকাটি, বেলকাটি, দূর্বাডাঙ্গা, সাগরদত্তকাটি, পাঁজিয়া, গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর ,মুজগুন্নি ও রামভদ্রপুর গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। এ ছাড়া পাঁজিয়া, কলাগাছি, নারায়নপুর,আড়ুয়া ও ভেরচিসহ এ অঞ্চলের মানুষের গোলাম আলী ফকির রাস্তা, চিনাটোলা, মনিরামপুর ও জেলা শহর যশোরে যাওয়ার সহজ পথ। এ রাস্তাটি হলে যেমন রাস্তা কম হবে খরচ হবে কম।

বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এলাকার লোকজনদের  গড়ভাঙ্গা বাজার ও পাঁজিয়া বাজারে ঢুকতে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে হয়। গড়ভাঙ্গা বাজারে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলো হলো, গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁজিয়া এমএন দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কয়েকটি। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাঁচা মালসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাতায়াতের জন্য চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। কাঁচামাল ব্যাবসায়ীদেরও একই অবস্থা।

নূড়িতলা বাজারের ডাঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি পাঁকা করনের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু  ৩ কিঃ মিটার রাস্তার মধ্যে দেড় কিঃ মিটার রাস্তা পাঁকাকরণ করা হলেও বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তার কারণে ৮ কিঃ মিঃ পথ পাড়ি দিয়ে পাঁজিয়া বাজারে আসা যাওয়া করতে হয়। বেলকাটি গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি পাঁকাকরন খুবই প্রয়োজন।

কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, আপাতত এখন নতুন কোন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by