প্রতিনিধি ৮ মে ২০২১ , ৬:২১:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার (০৬ মে) জাতিসংঘের চীনা প্রতিনিধি এক চিঠিতে জানায়, ‘তারা যা করছে তা রাজনৈতিক বেঠক। চীন বিরোধী এই বৈঠকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ রইল।’ ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, উস্কানিমূলক এসব ঘটনা কেবল সংঘাত বাড়াবে।
বুধবার (১২ মে) জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে বসবেন। এ বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো, জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ, এর সদস্য দেশগুলো এবং সুশীল সমাজ কীভাবে তাদের সহায়তা করতে পারে তার উপায় বের করা।
এর আগে চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী’ অপরাধ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
উইঘুর সম্প্রদায় মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী। চীনের বৃহত্তম প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তারিম উপত্যকা এলাকার বাসিন্দা উইঘুররা দেশটির সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬ টি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অন্যতম।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির জানায়, উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীন সরকারের গণহত্যার অপরাধ সংঘটনের খুবই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে তারা। উইঘুরদের কাজ করতে বাধ্য করা ছাড়াও বন্দিশিবিরে উইঘুর নারীদের পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে তারা।