আন্তর্জাতিক

একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার বিচার চাইল ভারত

  প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:৩৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিচার চাইলো ভারত।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২০২২ সালের প্রথম উন্মুক্ত বিতর্কে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা ও ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের’ বিচার দাবি করেন সংস্থাটিতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি।

জাতিসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা এরই মধ্যে শহুরে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলের সংঘাতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের মারাত্মক প্রভাবের উচ্চঝুঁকিতে রেখেছে।

তিনি বলেন, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনের মানুষজন যুদ্ধের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করছে। আরও অনেক দেশ রয়েছে যারা এখনো অতীতের গণহত্যার মতো সামরিক কর্মকাণ্ডের ফল ভুগছে, যেমন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে হয়েছিল।

ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভারত বহুদিন ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার চেয়ে আসছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তাদের আজও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি।

কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, সশস্ত্র সংঘাতগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যেমে সমাধান করতে হবে।

মুম্বাই হামলার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে জতিসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অটল থাকা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by