প্রতিনিধি ১১ মে ২০২০ , ৯:০৮:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
করোনাভাইরাসের কারণে নৌকা পাড়াপাড় বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের তুরাগ নদী পাড়ের মাঝিরা। উপার্জনের এক মাত্র মাধ্যেম বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় আট শতাধিক নৌকার মাঝি । ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত এইসব দরিদ্র মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজধানীর উপকণ্ঠ শিলা ল সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের একটি কাউন্দিয়া। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে কাউন্দিয়ার দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার ব্যবধান। চারপাশে পানি বেষ্টিত কাউন্দিয়াবাসীর নাজেহাল অবস্থা আর দুঃখ-দুর্দশায় জীবনযাত্রার মান দিন দিন বিপর্যস্ত হচ্ছে ।
করোনা ভাইরাসের কারণে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকার তুরাগ নদীতে মানুষ নিয়ে নৌকা পারাপার বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন প্রায় আট শতাধিক নৌকার মাঝি। নদীতে দুই মাস ধরে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার বন্ধ থাকায় অভাব ও অনাহারে দিন কাটছে এসব নৌকার মাঝিদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাউন্দিয়া এলাকার তুরাগ নদীতে প্রায় আট শতাধিক খালি নৌকা পড়ে রয়েছে। নৌকার মাঝিরা বাসা বাড়িতে অলস সময় পার করছেন। এ ইউনিয়নে প্রায় এক লক্ষ মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করেন।
এলাকাবাসী জানায় কাউন্দিয়া ইউনিয়নের চারপাশেই তুরাগ নদের শাখা-উপশাখা দ্বারা বেষ্টিত। পূর্বে মিরপুর,পশ্চিমে তুরাগ নদী, উত্তরে আমিনবাজার ও দক্ষিণে নবাবেরবাগ অবস্থিত। তবে এ সকল অ লের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। যা বহু বছর ধরে একই ধারায় চলমান রয়েছে । গ্রীষ্ম-বর্ষা যাই থাকুক না কেনও নৌকা দিয়েই পার হতে হয় সর্বক্ষণ ।
সড়ক পথে কাউন্দিয়ার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্ম ক্ষেত্রে জীবন যাপনের মান পিছিয়ে পড়ছে অনেক অংশেই। তাই জীবিকার তাগিদে ও চলাচলের স্বার্থে বাধ্য হয়েই ব্যবহার করছে নৌকা।
এমন অবস্থায় গত দুই মাস ধরে এ নদীতে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন নৌকার আট শতাধিক মাঝি। এমন অবস্থায় সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন নৌকার মাঝিরা।
এবিষয়ে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খাঁন শান্ত জানান, সরকার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বরাদ্দ দেয় তাহলে নৌকার মাঝিদের ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে তারা কিছুটা হলেও সাহায্য পাবে।
প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস এই কাউন্দিয়া ইউনিয়নে । যার বড় একটি অংশ এখন কর্মহিন ও বেকার । এই সব মানুষকে সরকারি সামাজিক কর্মসূচির আওতায় এনে দরকারি সহয়তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসীন্দারা।